মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি > লিবিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার প্রবাসি শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ দুলাল খান(৪৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে লিবিয়া প্রবাসি চার শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হলেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় আল–জাওয়াইয়া শহরের অদূরে মুত্তত এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটসায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মঠবাড়িয়ার হারজী নলবুনীয়া গ্রামের শ্রমিক দুলাল খান এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার দিবাগত স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে মারা যান। মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক রাহাত ও নিহত দুলালের পরিবার আজ মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
নিহত দুলাল দাউদখালী ইউনিয়নের হারজী নলবুনীয়া গ্রামের মৃত ছত্তার খানের ছেলে। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। দুলালের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
নিহত দুলালের স্ত্রী খাদিজা বেগম জানানম,গত পাঁচ বছর আগে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা আনার জন্য চোরাই পথে দালালের মাধ্যমে তার স্বামী দুলাল লিবিয়ায় পাড়ি জমায় ।
পুত্র শোকে পাথর দুলালের বৃদ্ধা মা আমেনা বেগম সরকারী ভাবে তার ছেলের লাশ দেশে আনার দাবী জানান।
উল্লেখ্য গত বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় বাংলাদেশী প্রবাসি শ্রমিকরা মিলে নিজেদের ঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে । এতে কে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বসবাসরত মঠবাড়িয়া প্রবাসি শ্রমিকরা অগ্নিদগ্ধ হন। পরে স্থানীয় অন্যান্য শ্রমিকরা এসে তাঁদের উদ্ধার করে আল-জাওয়াইয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রোগীদের অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ত্রিপলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে তিন শ্রমিক মারা যান । এসময় নিহত তিন শ্রমিকের মধ্যে মোস্তফা কামালের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের দণি মিঠাখালী গ্রামে । সে মৃত ওয়াহেদ হাওলাদারের ছেলে। অপর নিহত দুই শ্রমিক হল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার উত্তর কাঠালতলী গ্রামের মো. আলী মিস্ত্রীর ছেলে মো. হানিফা মিস্ত্রী ও মো. আফজাল জোমাদ্দারের ছেলে মো. বেলায়েত হোসেন জোমাদ্দার।
এদিকে মঠবাড়িয়ার দুই ও পাথরঘাটার দুই শ্রমিক মোট চার শ্রমিকের লাশ গ্রামের বাড়িতে ফেরার অপেক্ষার প্রহর গুনছে শোকার্ত পরিবারের স্বজনরা।