ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - পাল্টাপাল্টি মামলায় ৯০ সন্দেহভাজন আসামী মঠবাড়িয়ায় আ.লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে

পাল্টাপাল্টি মামলায় ৯০ সন্দেহভাজন আসামী মঠবাড়িয়ায় আ.লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে

বিশেষ প্রতিনিধি > পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গুলিতে যবলীগ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলায় গ্রেফতার আতংকে রয়েছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক আ.লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মী । পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় হত্যা মামলা, পৌর মেয়রের বাসভবনে হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের পাল্টা মামলায় পুলিশ ঘটনার পর থেকে অভিযান চালিয়ে আ.রীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করলে এ গ্রেফতার আতংক ছড়িয়ে পড়ে । মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের করা পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলায় এজাহার নামীয় ৪৪জন নেতা কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ৯০জনকে আসামী করায় গ্রেফতার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা পুলিশী ঝামেলা থেকে বাঁচতে এলাকা ছেঁড়েছেন বলে দলীয় একাধিক নেতা কর্মীদের সূত্রে জানাগেছে।

জানাগেছে, মঠবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আ.রীগ সভাপতি রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আশরাফুর রহমানের সমর্থক ছাত্রলীগের দুইটি বিবদমান পক্ষ গত রমজান মাস থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী আহত হয়। এ নিয়ে উপজেলা আ.লীগ দলীয় শৃংখলা বজায় রাখতে দলীয়ভাবে কয়েক দফা বৈঠক শেষে সমঝোতায় পৌঁছে ছিল।
গত ২৬ জুলাই( সোমবার) সন্ধ্যায় নতুন করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে মঠবাড়িয়া পৌর শহর রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় দুই পক্ষে সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আশরাফুর রহমান সমর্থিত যুবলীগ নেতা ইলিয়াছ হোসেন লিটন পন্ডিত গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এসময় পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম রাজুসহ ৫জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই জাকির হোসেন পন্ডিত বাদী হয়ে পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসসহ এজাহার নামীয় ১৫জন অংগ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাত নামা আরও ৪০ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপর দিকে ওই সংঘর্ষের সময় পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসের কাপড়িয়া পট্রির বাসভবনে হামলা ও ১১টি মটর সাইকেল ভাংচুর ঘটনায় মেয়রের চাচাতো ভাই মো. রাসেল বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানকে প্রধান আসামী করে এজাহার নামীয় ২৯জন অংগ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাত আরও ৫০ জনের নামে একটি হত্যা চেষ্টা, ভাংচুর ও লুটের মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারভূক্ত আসামীরা ঘটনার পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়েছেন। অনেকে দলের হাই কমান্ডের নেতাদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন।
অপরদিকে মামলার এজাহারে অজ্ঞাত নামা ৯০জকে সন্দেহভাজন আসামী করায় ভয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা, পৌর আ’লীগ ও ১১টি ইউনিয়নের আ’লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের ৫’শতাধিক নেতা কর্মী গ্রেফতার আতংকে ভুগছেন। অনেকে ঝামেলা এড়াতে ঢাকায় গেছেন। অনেকে উপজেলা সদরে আসছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা ছাত্রলেিগর এক কর্মী জানান, এ মুহূর্তে এলাকায় থাকলে সন্দেভাজন হিসেবে পুলিশী ঝামেলায় পড়তে হতে পারে এমন আশংকায় এলাকায় থাকছিনা। নেতা কর্মীদের কেউ উপজেলা সদরে আসলেও এ বিষয়ে কারও সাথে কোন আলোচনা সমালোচনা এড়িয়ে যাচ্ছেন।

তবে মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে কয়েক জনকে আটক করলেও জড়িতদের গ্রেফতার ও নিরাপরাধ যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। নিরাপদ কাউকেই অহেতুক গ্রেফতার কিংবা আটক করা হচ্ছেনা।

পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন জানান, মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় পুলিশকে যাচাই বাছাই করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...