মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি > পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এসময় পৌর ছাত্রলীগ অফিস ভাংচুর ও পৌরসভা ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের রাবার বুলেট চার্জের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের ৫ জন আহত হয়। আজ শনিবার দুপুর থেকে রাত আটটা অবধি গোটা পৌর শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে বিরাজ করে। ফলে আজ শহরের ঈদের বাজার পন্ড হয়ে যায়। সন্ধ্যার আগেই শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় । শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল সোহেল (২৮), পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আহম্মেদ রুবেল (২৫), যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জুলকাফল মাসুদ (৩৬), যুবলীগ সদস্য জাকির হোসেন শিপন হাওলাদার (৩৫) ও ছাত্রলীগ কর্মী বজলু (২৬)। এদের মধ্যে মধ্যে গুরুতর আহত উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল সোহেল, শিপন, বজলু ও মাসুদকে সন্ধ্যায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, টিআর-কাবিখার প্রকল্পের কাজ নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ ও পৌর ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এসময় শহরে গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ঈদের কেনা কাটা করতে আসা ক্রেতারা আতংকে ছুটা-ছুটি করে বাড়ি ফিরে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে। ব্যাবসায়ীরা শহরের দোকান পাট কয়েক ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেয়।
পড়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে এক পক্ষ মঠবাড়িয়া পৌরভবনে ইটপাটাকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্বিতীয় দফায় রাবার বুলেট চার্জ ও গ্যাস গান চার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষ পরস্পরকে দায়ি করেছে।
উপেেজলা ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল সোহেল অভিযোগ করেন, সিন্ডিকেট করে টিআর কাবিখার চাল,গম ক্রয়ে চাঁদাদাবির প্রতিবাদ করায় আমাকে পৌর ঝাত্রলীগ সভাপতি তার দলবল দুপুরে আ‘লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়রের উপস্থিতিতে তার বাসভবনের সামনে আমার ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে।
তবে পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম রাজু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল সোহেলের পক্ষ নিয়ে যুবলীগ নেতা কালাম মোল্লা আমার দুই কর্মীকে কুপিয়ে যখম করেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষে বিরোধ বাঁধে। এদিকে দুপুরে এঘটনার জের ধরে পৌর ছাত্রলীগ অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে ।
এ বিষয়ে উপজেলা আ.লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র মো. রফিউদ্দিন ফেরদৌস বলেন, দুপরের দিকে পৌর শহরের মোমেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার কাছে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে আমার বাসার কাছে ছাত্রলীগের আলামীন মল্লিক ও তার সমর্থকরা মিলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার পর পৌরভবনে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মাস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিবদমান দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করতে গ্যাস গান ও কিছু রাবার বুলেট চার্জ করা হয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।