বিশেষ প্রতিনিধি > মঠবাড়িয়া পৌর শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন মঠবাড়িয়া-মাছুয়া খালের ওপর ৪৫ মিটার পাকা সেতুটি বিধ্বস্ত হওযার ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সেখানে নির্মাণ হয়নি পাকা সেতু। কাঠ,বাশেঁর তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ নড়বরে সাঁকো দিযে পাড়াপাড় করছে চার ইউনিয়নের অন্তত ২৫ টি গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। অপ্রশস্ত এ সেতু দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সকল প্রকার যানবাহন পারাপারও বন্ধ রয়েছ্।
চার বছর আগে পাকা সেতুটি একটি বালু বোঝাই বার্জের ধাক্কায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার পর মঠবাড়িয়া, বেতমোড়, আমড়াগাছিয়া ও মাছুয়া ইউনিয়নের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ফলে সকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার জরুরী রোগী সদর হাসপাতালে আসতে সেতু দিয়ে দূর্ভোগে পারাপার হন । সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এলাকাবাসি প্রথমে খেয়া নৌকায় পারাপার করেন। পরে সেখানে দায়সারাভাবে পৌর প্রশাসন কাঠ ও বাঁশের অপ্রশস্ত একটি সাঁকো নির্মাণ করে দিলেও জনসাধারণ ঝুঁকি নিয়ে নিত্য পারাপার হচ্ছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, দুই বছর আগে এক রাতে বলেশ্বর নদ থেকে বালু বোঝাই এমভি শামীম নামের একটি বার্জ মাছুয়া খাল দিয়ে মঠবাড়িয়ার দিকে আসছিল। এসময় বার্জটি মঠবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকার হাসপাতাল সংলগ্ন মাছুয়া খালের ওই সেতুিট পার হওয়ার সময় সেতুর সাথে ধাক্কা লাগলে সেতুটির মাঝখানে অন্তত ২৫ মিটার ভেঙে পড়ে যায়। সেতুটি বিধস্ত অংশ বার্জের ওপর পড়ে বার্জটি খালের চরে আটকে যায়। পরে সেতুর অভাবে জনসাধারণের খেয়া নৌকায় চরম দূর্ভোগে পারাপার হন। কয়েকমাস পর পৌর প্রশাসন কাঠ ও বাঁশের অপ্রশস্ত সাঁকো নির্মাণ করে। তবে এ সাঁকোর ওপর দিয়ে যানবাহন পারাপার সম্পূর্ন বন্ধ রয়েছে। বাঁশ ও কাঠে নির্মিত এ সাঁকোটি এখন নড়বরে ও ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়েছে। যে কোন মূহুর্তেতে সাঁেকাটি ভেঙে পড়তে পারে।
স্থানীয় ঔষধ ব্যবসায়ি মো. আমীর হাসেন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায় জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এখন সেখানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে।জনস্বার্থে দ্রুত সেতুটি পূণ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
উপজেলার বেতমোর গ্রামের ব্যবসায়ি মো. মিজানুর রহমান বলেন, পাকা সেতুটি জনগুরুত্বপূণ হলেও বিধ্বস্ত হওয়ার চার বছরেও সেখানে সেতুটি নির্মাণ হয়নি। গত সাড়ে তিনবছর ধরে চার ইউনিয়নের মানুষ বাঁশের একটি নড়বরে সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে জরুরী এম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চলচলাল সম্ভব হচ্ছেনা। এমনকি সাধারণ কোন পরিবহনের গাড়িও পারাপার সম্ভব নয়। জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি পূণনির্মাণ প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িযা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুস ছালেক জানান, মঠবাড়িযা পৌরসভার অর্থায়নে প্রায় ৪৫ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুটি ১৪ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারনে বর্তমানে জনসাধারণের চলাচলে দূর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরো জনান উপকুলীয় শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ব্রিজটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পটি চুড়ান্ত অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে । – প্রতিবেদনের ছবি : জামান আবীর