ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - মঠবাড়িয়ার কে.এম লতীফ ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে অফিস কক্ষে শিক্ষকদের তালা

মঠবাড়িয়ার কে.এম লতীফ ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে অফিস কক্ষে শিক্ষকদের তালা


মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি 🔴🟢
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কে.এম লতীফ ইনস্টিউিটশের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ও তার অপসারণ দাবিতে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা অফিস কক্ষ হতে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বিকল্প তালা লাগিয়ে দেন । পরে শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর বরাবরে উপজেলা নির্বাহী কর্মবর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিগত দুই বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় সাক্ষর না থাকলেও তিনি নিয়মিত সরকারি ও বিদ্যালয় প্রদত্ত বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করে আসছেন। বিদ্যালয়ে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনে তার অনিহা । নিজস্ব লোক দিয়ে বার বার এডহক কমিটি গঠনের অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত, স্বেচ্ছাচারিভাবে বিদ্যালয় পরিচালনাসহ কর্মরত শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্য আচরণ করে আসলে বিদ্যালয়ে নানা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ২৬জন শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৎকালিন ম্যানেজিং কমিটির বরাবরে লিখিত প্রতিকারের আবেদন জানান। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রধান শিক্ষক বেপরোয়া হয়ে ১৮জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে উল্টো শোকজ নোটিশ করেন। এঘটনায় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেন। ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অদক্ষতা, অব্যবস্থাপণার অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ সহ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।
এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসিন,সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক নেতারা প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার । পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক তদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই তদন্তে প্রধান শিক্ষক দোষি প্রমাণিত হলেও গত দুই বছরেও কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। উপরন্তু প্রধান শিক্ষক চাকুরি বিধি লংঘন কওে গত দুই বছর ধওে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করে নেন।এমনকি ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে মামলা দায়ের করে প্রধান শিক্ষক এডহক কমিটির অনুমতি এনে নিজের পছন্দমত এডহক কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির কাছে শিক্ষকরা প্রতিকারের আবেদন জানালেও কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক বিনা ছুটিতে গত দুই বছর ধরে অনুপস্থিত। তার বিরুদ্ধে নানা অয়িমের তদন্ত শেষে দোষি প্রমানিত হওয়ার পর কোনো ব্যবস্থা নিয়ে নেওয়া হয়নি। শিক্ষকরা নিরুপায় হয়ে আবার আন্দোলনে নেমেছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে আমরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মর্তা ঊর্মী ভৌমিক বলেন, শিক্ষকদের স্মারকলিপি পেয়েছি। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে জটিলতা অনেক দিনের। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...