মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি 🔴
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়য় সৎ মায়ের মারধরে হানযালা নামে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে অভিযুক্ত বাবা ওয়ার্কশপ শ্রমিক জুয়েল মুন্সি ও সৎ মা শাহানা বেগম মিলে শিশুটির লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালের সামনে থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
শিশুটির আপন মা সুবর্ণার বেগম অভিযোগ, গত দেড় বছর আগে তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এসময় তার সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু হানযালাকে তার বাবা জোর পূর্বক নিয়ে যান। পরে তার স্বামী বিয়ে করেন। এরপর থেকে হানযালা সৎ মায়ের নির্যাতনের শিকার হয়। ঘটনার দিন শিশুটিকে তার সৎ মা শাহানা মারধর করে এতে শিশুটি মারা যায় বলেও দাবি তার।
জানা গেছে, সম্প্রতি হানযালাকে শহরের দক্ষিণ বন্দর ভাড়া বাসায় সৎ মায়ের কাছে নিয়ে আসেন জুয়েল। এ নিয়ে তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বুধবার রাতে শিশুটি সৎ মা মারধর করে। এরপর অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে শহরের বেসরকারি মা ও জেনারেল শিশু হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যায় শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির কপালে ও হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। পরে রাত ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে শিশুটির লাশ মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ফেলে বাবা ও সৎ মা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
শিশুটির নানি বৃদ্ধা হাসি বেগম এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, শিশু হানযালা আমার কাছে ছিলো। গত শবেরাতের রাতে তার বাবা ওকে সুস্থ অবস্থায় নিয়ে যায়। এখন শুনি সৎ মায়ের মারধরে হানযালা মারা গেছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, মৃত শিশুরটির আপন মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবা ও সৎ মা পলাতক। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।