মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের জন্য তানজিলা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নির্যাতিতার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে উপজেলার মানিকখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূ কে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত শাশুড়ি আলেয়া বেগম (৪৮) উপজেলার মানিকখালী গ্রামের ধলু মুন্সির স্ত্রী ।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের সিদ্দিক মীরের মেয়ে তানজিলা বেগমের সঙ্গে গ্রায় দশ বছর আগে পার্শবতর্ী গোলবুনিয়া গ্রামের ধলু মুন্সির ছেলে নাসির উদ্দিন মুন্সির বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘরে আট বছরের একটি কন্যা ও আড়াই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত দেড় বছর আগে নির্যাতিত ওই গৃহবধূর স্মামী নাছির উদ্দিন চাকুরীর উদ্দেশ্যে সৌদিআরব চলে যায়। এর পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুক হিসেবে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করে আসছিল। কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। গত শনিবার দুপুরে গৃহবধূ তানজিলা এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে শ্বশুর, শাশুড়ি ও চাচা শশুর সংঘবদ্ধ ভাবে তাকে চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ির উঠানে লোকজনের সামনে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। এসময় আট বছরের মেয়ে নাসরিন তার মায়ের ওপর নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে । পরে নির্যাতনের এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ওই নির্যাতিত গৃহ বধূর পিতা সিদ্দিক মীর বাদি হয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুরকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ শাশুড়ি আলেয়া বেগমকে গ্রেফতার করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আ.ম. মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
শনিবার রাতে এ বিষয়ে একটি মামলা করেছেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর বাবা। এরপরই শ্বশুর পলাতাক থাকায় শাশুড়িকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো
হয়েছে।