পিরোজপুর প্রতিনিধিঃঃ পিরোজপুরে দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মো. লাল মিয়া হাওলাদার (৫৫) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী(পাগল)ও লাশ শহরের সদর রোডের একটি নালা থেকে এবং পৌর শহরের মুক্তারকাঠী এলাকায় মো. আ. সালেক সর্দার (৬০) নামের এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানা অফিসার ইন চার্জ মো. নুরুল ইসলাম বাদল । নিহত লাল মিয়া সদর উপজেলার শংকর পাশা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত্যু জিন্নাত হাওলাদারের ছেলে এবং নিহত সালেক সর্দার পৌর শহরের মুক্তারকাঠী এলাকার মৃত আ: লতিফ সর্দারের ছেলেস্থাণীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পুরাতন ঈদগাহ মাঠের পূর্ব পাশের ড্রেনে ওই লাল মিয়ার ভাসমান লাশ দেখে স্থাণীয়রা থানা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন। ওই লাল মিয়া মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগল) হিসাবে শহরে ৫/৬ মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তার মুখে দাঁড়ি, পড়নে চেক লুঙ্গি ও গায়ে একটি কালো রংয়ের জ্যাকেট রয়েছে।
এ ছাড়া একই দিন সকালে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মুক্তারকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা সালেক সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ।
নিহত সালেক সরদারের পুত্র শামীম সরদার জানান, তার বোন জামাই মিজান হোসেন তার বাবা সালেক সরদারকে জামিনদার রেখে অনেক স্থান থেকে টাকা ধার নিয়ে পিরোজপুর থেকে পালিয়ে গেছে। এই কারণে পাওনাদাররা তার বাবা সালেক সরদারকে নানা ভাবে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকার কারণেই সে আত্মহত্যা করছে বলে তার মনে করছে।
পিরোজপুর সদর থানার এই আই ফারুক হোসেন জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে দেনার টাকা পরিশোধে ব্যার্থ হয়েই সালেক সরকার গাছের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে লাশ তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।