ব্রেকিং নিউজ
Home - মঠবাড়িয়া - করোনাকালে স্ট্রোক করে মারা যাওয়া কি অপরাধ!

করোনাকালে স্ট্রোক করে মারা যাওয়া কি অপরাধ!

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নের নলী তুলাতলা গ্রামের আঃ হালিম মিস্ত্রী গতরাত ২:৩০ ঘটিকায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ব্রেন স্ট্রোক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ওইরাতেই এম্বুলেন্স যোগে মৃতদেহ নিয়ে নলী তুলাতলা এলাকায় পৌছলে তাৎক্ষনিক ভয়ে কেউ কাছে যায়নি। পরে কিছুসংখ্যক স্বজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে অাসলেও দাঁড়িয়েছিলেন বেশ দূরে।

মৃত্য ব্যক্তির ছোট ছেলে সোহাগ এর মুঠোফোনে খবর পেয়ে ছুটে যান মানববিক সেচ্ছাসেবক নুরুল অামীন রাসেল গিয়ে তেমন কোন লোকজন না দেখে হতাশ হয়ে পরেন। পরে তিনি প্রতিবেশী কয়েকজনকে ডেকে এনে ওই মৃত্য ব্যক্তির গোসল করিয়ে গ্রামের কিছুসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে দাফন করেন।

মৃতদেহ গোসল ও দাফনের কাজ করায় ওই পাঁচ জনের কাছে ভেড়েনি কোনও মানুষ।মানুষটা তো মারা গেছে স্ট্রোকে। এমন অমানবিকতা কখনই কাম্য নয়।মানুষ মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকলেও এই মহামারী আমাদের অমানবিক করে তুলছে। বলতে হয় মরার আর সময় পেলো না! শেষমেশ কিনা এই অবেলায়। যদি এই অবেলায় মরে যাই, বড়ই লজ্জা পাবো।

দিনশেষে মনে হচ্ছে, করোনাকাল আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভীতি এবং ক্ষেত্রবিশেষ মনুষ্যত্বহীন করে তুলেছে। রোগীকে ফেলে চলে যাচ্ছে আপন সন্তান, স্বজন। স্বাভাবিক মৃত্যুতেও লাশের মুখ দেখতে চাচ্ছে না প্রতিবেশী, আগের মতো মৃত ব্যক্তির বাড়িতে খাবার পাঠানোর প্রশ্ন তো আসেই না। স্ট্রোক করা মৃতুকেও করে তুলছি ভীতিকর। যেন আমাদের কারও মৃত্যু হবে না। আর এখন মরে যাওয়াও একটি অপরাধ।

মীর তারেক
সভাপতি, কুয়েত মহানগর যুবলীগ।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...