নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে অবিরাম তিনি মানুষের জন্য ছুটে চলেছেন।
পিরোজপুরের কাউখালী জনপদের মানুষের জীবন নিরাপদ রাখতে শুরু থেকে লকডাউন সফল করতে নিজেই হ্যাণ্ডমাইক নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের জীবন নিরাপদ রাখতে সতর্কতামূলক কয়েক হাজার চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন বাড়িতে।
ঘরবন্দী মানুষকে বঁাচাতে ভ্রাম্যমান, কঁাচাবাজার, ফলের বাজার, মাছের বাজারসহ ভ্রাম্যমান হাট নিয়ে গেছেন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের দোর গোড়ায়। এমনিক
ঘরবন্দী মানুষকে ভ্রাম্যমান জরুরী ঔষধ সরবরাহ সহ চিকিৎসা সেবা চালু করেন ।
কাউখালীর সন্ধ্যা নদী তীরবর্তী জনপদের মানুষ ও চরাঞ্চলের মানুষের জন্য ট্রলারে চালু করেন খাদ্য সরবরাহ ও চিকিৎ প্রদান কর্মসূচি নামে সেবার নৌকা । করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে ফল ও আহার পাঠিয়েছেন ভালবাসার পরশ নামে। আর করোনায় বিপন্ন কৃষি ও কৃষক বঁাচাতে জমির নিবিড় ব্যবহারের উপায় খুঁজে চরাঞ্চলে কৃষির বিপ্লবেও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
করোনাকালে পিরোজপুর জেলার সবচেয়ে সফল কর্মসূচি জেলায় করোনাকালে আজ অবধি মডেল প্রশাসন কাউখালী । কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব খালেদা খাতুন রেখা করোনাযোদ্ধা এক জনবান্ধব প্রশাসনিক কর্মকর্তা। যিনি করোনাকালে কাউখালী জনপদের বিপন্ন মানুষকে নিরাপদ রাখতে রাত-দিন বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। তার জনবান্ধব কর্মকাণ্ড জেলার মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই পিরোজপুরের কাউখালীতে এ ভাইরাস প্রতিরোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও খালেদা খাতুন। কেউ আক্রান্ত হলে নিজেই তার বাড়িতে গিয়ে সাহস-শক্তি যুগিয়ে চলেছেন। তিনি নিজেই আজ করোনা পজেটিভ। তবে তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
আজ রবিবার রাতে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা সকলের কাছে দোয়া চেয়ে করোনা পজেটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১০ জুলাই ইউএনও ও তার মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বরিশাল প্রেরণ করা হয়েছিল। ইউএনও পজেটিভ আসলেও তার স্কুল
ছাত্রী মেয়ের নেগেটিভ আসে। ইউএনও বর্তমানে নিজ বাসাতেই আইসোলেশনে রয়েছেন।
এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা জানান, তিনি বর্তমানে করোনা পজিটিভ হলেও শারীরিকভাবে সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। তিনি তার পরিবারের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছন।