অনলাইন ডেস্কঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড় বৃষ্টিতে বিপন্ন হয়ে পড়েছে বলেশ্বর নদী তীরবর্তী প্রায় তিরিশ হাজার জনগোষ্টি। এসব এলাকার মানুষগুলোকে উপজেলা প্রশাসন গতকাল নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে এসেছেন। মঠবাড়িয়ার যোগাযোগবিচ্ছিন্ন মাঝেরচর থেকে প্রায় বারো হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসার জন্য আজকে উপজেলা প্রশাসন থেকে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হয়। এদেরকে মাঝেরচর থেকে ট্রলারযোগে বেতমোর এলাকার বিভিন্ন নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিপন বিশ্বাস আজ সকালে মাঝেরচর থেকে এসব পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসেন।
এদিকে মঠবাড়িয়ার নদী-তীরবর্তী তুষখালী বড়মাছুয়া সাপলেজা আমড়াগাছিয়া কচুবাড়িয়া ও বেতমোর এলাকার নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসের তলিয়ে গেছে।
প্রায় তিন-চার ফুট জলোচ্ছ্বাসের তলিয়ে গেছে কচুবাড়ি এলাকার ভুট্টা, সূর্যমূখী ও রবিশস্যের আবাদি ফসলের মাঠ। এসব এলাকার কৃষকরা এই জলাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক ফসলহানির আশংকা করছেন।
উপকূলে এখন বাতাসের গতি বাড়তে শুরু করেছে এবং আজ দিনভর ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষ একদিকে করোনা আরেকদিকে ঘূর্ণিঝড় আস্ফানের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে গতকাল রাতে উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাক্স স্যানিটাইজার সহ এসব আশ্রিতদের মাঝে শুকনো খাবার ও খিচুরি বিতরণ করা হয়েছে। আম্পানের প্রভাবে বলেশ্বর নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে এতে সাপলেজা ইউনিয়নের খেতাছিড়া গ্রামে সাম্প্রতিক মেরামতকৃত বাঁধ বিপন্নতার মুখে পড়েছে এবং বড় মাছুয়া এলাকায় লঞ্চ ও ষ্টিমার ঘাট সংলগ্ন ব্যাপক নদীভাঙনের কবলে পড়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক বলেন, নদী তীরবর্তীএলাকার মানুষ ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদেরকে গতকাল থেকেই পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্যোগে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। ঝড়ের গতি বৃদ্ধি পেলে সংস্লিষ্ট এলাকায় তৎপরতা পরিচালিত হবে। মানুষজনকে তাদের স্বস্ব অবস্থান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে এবং করোনা কালীন সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরপদ থাকতে বলা হয়েছে।