দেবদাস মজুমদার >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া র সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ধসে পড়ার আতংক বিরাজ করছে । অতি পুরানো ভবনিট এখন মৃত্যু ঝুঁকিতে পরনিত হয়েছে। গত ১০ বছরের অধিক সময় ধরে ভবনটি জ্বরাজীর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। গত সোমবার ভবনের তথ্য সেবা কেন্দ্রের ছাদ ধ্বসে স্থানীয় দুই ব্যক্তি আহত হন। ওই ঘটনার পর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি যে কোন মুহুর্তে ধসে পড়ার আশংকায় আতংকিত এলাকাবাসি। ভবন ধসের আতংক নিয়েই চলছে পরিষদের কার্যক্রম।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে ,প্রায় ৫ যুগের অধিক আগে সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদ ভনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটি গত ১৫ বছর ধরেই ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সেই থেকে জরাজীর্ণ ইউপি ভবনে চলছে পরিষদের প্রতিদিনের কার্যক্রম। জরাজীর্ণ ভবনে প্রতিদিন শত শত মানুষের আসা যাওয়া চলে এখানে। ভবনের ছাদ খসে খন্ড খন্ড ছাদ পড়ছে। সেই সাথে দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় জরাজীর্ণ ভবনটি যে কোন মুহুর্তে ধসে পড়ে মানুষের প্রাণহানীর আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।
স্থানীয় সাপলেজা বন্দরের ব্যবসায়ী উতপল হাওলাদার বলেন, সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নতুন করে কমপ্লেক্স আকারে নির্মাণ হলেও সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদ সে ছোঁয়া পায়নি। মঠবাড়িয়ার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বড় বড় ইউনিয়ন হলেও সাপলেজা ইউনিয়ন পরষিদ চলছে এখন ভবন ধসের আতংকে।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, ১৯৭৫ সালে১৬ শতক জমির উপর সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদ ভন স্থাপিত হয়। তিন কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটির দেওয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে, মাথার উপর ছাদ খন্ড খন্ড খসে পড়ছে, যার মেঝেতে খোয়া ও বালি উঠে গেছে অধিকাংশ জায়গায়। বর্তমানে বিষধর সাপসহ পোকা মাকড়ের বসবাস। জানালাগুলো মরিচা পড়ে অনেক আগে থেকে নষ্ট হয়েছে। তারপরও ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের মানুষ নিত্য সেবা নিতে ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আসেন। এছাড়া অনেকাটা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সচিব ও সাধারণ মানুষ আসছেন। যে কোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরণের প্রাণহানীর আশংকা দেখা দিয়েছে।
ইউপি সচিব মো. মাহমুদ হাসান বলেন, একটি আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য আগে ৫২শতক জমি প্রয়োজন হয়। তবে এখন ৩৩ শতক হলেও হবে। কিন্ত সাপরেজা ইউনিয়ন পরিষদের জমি রয়েছে মাত্র ১৬ শতক । ফলে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের বিষয়টিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ভবনটি যে অবস্থায় এসে ঠেকেছে তাতে যে কোন মুহূর্তে ধসের আশংকা রয়েছে।
পরিষদের তথ্য মতে জানাযায়, এদিকে জরাজীর্ণ ইউপি ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য পরিষদ কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন দাখিল করার প্রস্তাতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিরাজ মিয়া বলেন, বর্তমানে জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে ইউপি সদস্য, সচিব ও গ্রামপুলিশ নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চলছে। জনসাধারণও এখানে আসেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ভবনটি অপসারণ করে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।