ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মঠবাড়িয়ায় শানে ব্যস্ত কামারশালা

মঠবাড়িয়ায় শানে ব্যস্ত কামারশালা

দেবদাস মজুমদার >
পবিত্র ঈদুল আযাহা সমাগত। কোরবানীর জন্য চাই নতুন ধারালো দা, বটি, চাকু, চাপাতি, কুড়াল । তাই কোরবানীর মেস মূহুর্তে ধারালো অস্ত্রের কারিগররা । দিনভর ও মধ্য রাত অবধি টুং টাং শব্দে মুখরিত পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দক্ষিণ বন্দর কামারশালা।
জানাগেছে,গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দরের কামারপট্টির কারিগররা দা, কুড়ালসহ লোহার যন্ত্রপাতি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অধিকাংশ দোকানেই তাদের নিজেদের তৈরি যন্ত্রপাতি বিক্রি করছেন। তবে এ মৌসুমে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ীও রয়েছে। যারা শুধু ঈদের সময়ই এই ব্যবসা করে থাকেন।
তাই অন্যান্য সময়ের চেয়ে ঈদুল আযাহার সময় কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় কামার পট্টিতে। কারণ ঈদুল আযাহার সময় পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রচুর পরিমানে দা, ছুরি, চাপাতি, বটিসহ লোহার যন্ত্রপাতির চাহিদা থাকে।
মঠবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দরের কামার ফনি কর্মকার জানান, দুইশত বছর ধরে পূর্ব পুরুষের পেশার সাথে কামাররা এখানে টিকে আছেন। ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন পাঁচ/সাত হাজার টাকার যন্ত্রপাতি বিক্রি হয়। প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামরদের ব্যস্তা বাড়ে।
ঈদকে সামনে রেখে প্রচুর অর্ডার আসা শুরু হয়েছে। এ কারণে কর্মব্যস্ততাও বেড়ে গেছে তাদের কোরবানীর সময়ে চাপাতি, দা, বটি, ছুরি, কুড়ালসহ পশু কোরবানি সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির অর্ডার বেশি থাকে। তবে যন্ত্র তৈরির জ্বালানি কয়লার দাম অনেক বাড়তি। এক বস্তা কয়লার দাম দেড় হাজার টাকা যা একদিনেই শেষ হয়ে যায়। তারপরও এ সময়টাতে কামার শিল্পীদের আয় রোজগার

কামার শিল্পী সুশীল কর্মকার জানান, যন্ত্রপাতি তৈরির কাচাঁমাল কিনতে হয় প্রতিকেজি ৯০থেকে ১০০টাকায়। পাকা লোহার দা, ছুরি সব সময়ই বেশী দামে বিক্রি হয়ে থাকে। দা আকৃতি লোহা ভেদে ৩০০ থেকে ৫০০, ছুরি ৮০ থেকে ৩০০, ছোরা সর্বোচ্চ ১০০, হাড় কোপানোর চাপাতি এক একটি ২০০ থেকে ৪০০ এবং ধার দেওয়ার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পুরানো দা বটি শান দিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন কামাররা।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, উপকূলর হাট বাজারেও কোরবানীর চা বটির চাহিদা রয়েছে। কোরবানী উপলক্ষে শত শত গরু, ছাগল, মহিষ ইত্যাদি পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা, বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি লোহার হাতিয়ারের ব্যাবহার হবে। তাই এই বিপুল চাহিদার যোগান দিতে কামার শিল্পীরা রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
# ছবি- এস.এম আকাশ

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...