ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ৮১তম জন্মদিন আজ

খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ৮১তম জন্মদিন আজ

সংস্কৃতি প্রতিবেদক >
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ,সফল সাংবাদিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হানের ৮১তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে জন্মে ছিলেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের এই খ্যাতিমান পরিচালক ছাত্রাবস্থায় ১৯৫০ সালে সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তী সময়ে তিনি খাপছাড়া, যান্ত্রিক, সিনেমা ইত্যাদি পত্রিকাতেও কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি সম্পাদক হিসেবে প্রবাহ পত্রিকায় যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘সূর্যগ্রহণ’ প্রকাশিত হয়।
১৯৫৭ সালে তিনি চলচ্চিত্র জগতে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন । ‘জাগো হুয়া সাবেরা’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন। পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ‘কখনো আসেনি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৬১ সালে। তিনি ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’ নির্মাণ করেন এবং পরের বছর তার প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘বাহানা’ মুক্তি পায়। তাঁর নির্মিত আরও উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘সোনার কাজল’, ‘কাচের দেয়াল’, ‘আনোয়ারা’, ‘বেহুলা’, ‘জ্বলতে সুরুজ নিচে’।
তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘বরফ গলা নদী’ ও ‘আর কতদিন’।
জহির রায়হান ছোটবেলা বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। এজন্য কারাবরণও করেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তার নির্মিত তথ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার রচিত ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রে বাঙালির ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীকার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট প্রতিফলিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জহির রায়হান ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরে আসেন। ফিরে এসে তাঁর অগ্রজ শহীদুল্লাহ কায়সারের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ শুনে তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুরে ভাইকে খুঁজতে গিয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি।
তার রচিত উপন্যাস, গল্প বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।
চলচিত্র ও বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৪), নিগার পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭১), একুশে পদক (১৯৭৭) স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৯২) অর্জণ করেন ।
আমাদের শিল্প সংস্কৃতি আর চলচ্চিত্রের অগ্রসরমান ইতিহাসে প্রয়াত জহির রায়হান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
———————————-
# তথ্য সূত্র > উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...