ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - উপজেলার নাম ইন্দুরকানীর স্থানে জিয়ানগর : স্মার্ট কার্ড ফেরত দিলেন মুক্তিযোদ্ধারা

উপজেলার নাম ইন্দুরকানীর স্থানে জিয়ানগর : স্মার্ট কার্ড ফেরত দিলেন মুক্তিযোদ্ধারা

পিরোজপুর প্রতিনিধি :

উপজেলা ও থানার নাম ইন্দুরকানীর স্থানে জিয়ানগর লেখার কারণে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা গন ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড গ্রহণ না করে তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে ফেরত দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে কার্ড বিতরন করার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ইন্দুরকানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো: মোশারফ হোসেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো: মোশারফ হোসেন জানান, সরকার বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সকল মুক্তিযোদ্ধারা অনেক খুশি হয়েছিলো। কিন্তু ইন্দুরকানী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয় থেকে তাদের জন্য ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ডে ইন্দুরকানীর স্থানে জিয়ানগর লেখা আসায় তারা অনেক কষ্ট পেয়েছেন।
কমান্ডার মো: মোশারফ হোসেন জানান, ইন্দুরাকানী উপজেলায় সরকারি তালিকা ভুক্ত ১১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জীবিত ৬৮ জনের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড এবং মৃত ৪৭ জনের জন্য ডিজিটাল সার্টিফিকেটে উপজেলা ও থানার নামে ইন্দুরকানীর স্থানে জিয়ানগর লেখা থাকার করনে মুক্তিযোদ্ধারা এবং মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা কেউ তা গ্রহণ করনেনি।
সাবেক কমান্ডার মো: মোশারফ হোসেন আরো জানান, এই ঘটনার কয়েকমাস আগে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয় থেকে প্রেরণ করা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায়ও উপজেলার নাম জিয়ানগর লেখা দেখে তিনি প্রতিবাদ জানান। এছাড়া নিজে জিয়ানগর উপজেলার নাম পরিবর্তনের সরকারি গেজেট নিয়ে মন্ত্রানালয়ে গিয়ে গেজেট শাখায় তা দিয়ে আসেন। কিন্তু তারপরও এই বিষয়ে কোন সুরহা না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড গ্রহণ করেনি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ হাওলাদার জানান, ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী সরকারি এক গেজেটের মাধ্যেমে পিরোজপুরের তৎকালীন জিয়ানগর উপজেলা তার পুরাতন নাম ইন্দুরকানীতে ফিরে আসে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনগণের দাবীর কারণে তৎকালীন সরকার এই উপজেলার নাম ইন্দুরকানী করে। কিন্তু জিয়ানগর থেকে ইন্দুরকানী উপজেলার হবার পাঁচ বছর পরেও সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ডে উপজেলার নাম ইন্দুরকানীর স্থানে জিয়ানগর আসায় তারা ক্ষুব্দ।
সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ হাওলাদার আরো জানান, তাদের জন্ম ইন্দুরকানীতে, যুদ্ধ করেছেন ইন্দুরকানীতে তাই তাদের বুকে জিয়ানগর লেখা কার্ড থাকতে পারে না। তাই সরকারের দেয়া ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে গ্রহণ করেননি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়নি বা বিতরণের জন্য তাদের বলাও হয়নি। ভুল সংশোধনের আবেদনসহ সকল সনদ ও পরিচয়পত্রগুলো সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয় পাঠাব। ২০০২ সালে ইন্দুরকানিকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালে নাম জিয়ানগর পরিবর্তন করে ইন্দুরকানি রাখা হয়।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...