পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালী ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী( আনারস প্রতীক) চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বর প্রার্থীর ( মোরগ প্রতীক) ৫টি নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়েছে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর সমর্থকরা।
শুক্রবার দিনগত রাতে উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়ন বাজারে ও ঝাউতলা আ‘লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বর প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে প্রতিপক্ষরা। এসময় দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মাসুম বিল্লাহ মুন্না শরীফ (২৪) ও খোকন পঞ্চায়েত (২৯) নামে কে আটক করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতীদ্বন্দী এক মেম্বর প্রার্থীকে অর্থদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এলাকায় র্যাব ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
জানাগেছে, শুক্রবার সন্ধায় ১০/১২টি মোটসাইকেলে ২৫/৩০ আরোহী বাজারে প্রবেশ করে আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আবু হানিফ খানের আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে ভংচুর করে। এসময় ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর প্রার্থী বর্তমান মেম্বর মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের মোরগ প্রতীকের অফিসও ভাংচুর করা হয়। এ হামলারসময় কার্তিক (৭০) ও চুন্নু জমাদ্দার (৬৫) নামে দুই জন আহত হয়। এরপর ঝাউতলা বাজারের অফিসও হামলাকারিরা ভাংচুর করে এলাকায় ভিতিকর অবস্থার সৃষ্টি করে । পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের দায়ে অভিযুক্ত এক মেম্বর প্রার্থীসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশ। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত মেম্বর প্রার্থী ইউসুফ ডিলারকে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা কওে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান আবু হানিফ খান অভিযোগ করেন,তার প্রতিদ্বন্দী আওয়ামীলীগ প্রার্থী সোবাহান শরীফের সমর্থকরা মিরুখালী বাজার ও ঝাউতলা বাজারের নির্বাচনী অফিস ও মাইক ভাংচুর করে।
তবে নৌকার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সোবাহান শরীফ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আনারস প্রতীকের সমর্থকরা নিজেদের অফিস ভাংচুর করে এলাকায় ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বাদল জানান, পরিস্থিত এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। নির্বচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচনে যারা শান্তি শৃংখলা বিঘ্ন ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।