ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন মঠবাড়িয়ার রাজমন্দিরে

বরিশাল বিভাগের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন মঠবাড়িয়ার রাজমন্দিরে

দেবদাস মজুমদার <>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রাজ মন্দির নামে এক পূজা ম-পে এবার ৩৫১ প্রতীমার দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়নের কবুতরখালী গ্রামের হালদার বাড়িতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বাধিক প্রতিমার সমন্বয়ে এ দূর্গা পূজার আয়োজন ইতিমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে সারা ফেলেছে। দুই চিকিৎসক দম্পতির পারিবারিক উদ্যোগে এবার এ পূজা ম-পেই উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলের সর্ববৃহৎ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আজ শনিবার বিকেলে মঠবাড়িয়া উপজেলা সদও থেকে তিন কিলো মিটার দুরে কবুতরখালী গ্রামের হালদার বাড়ির রাজমন্দিরের গিয়ে দেখা গেছে, এক একর জমি জুড়ে রাজমন্দিরের আশপাশ জুড়ে পৃথক ৫৫টি মন্দিরে সর্ব মোট ৩৫১টি প্রতিমা স্থান করা হয়েছে। এক ম-পে এত বড় পরিসরে শারদীয় উৎসবের আয়োজন বরিশাল বিঅগের আর কোথাও নেই। গতকাল ৪ঠা অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা দিয়ে দূর্গা পূজা শুরু । এখানে উৎসব চলবে টানা পাঁচদিন। সেই সাথে এখানে মেলার আয়োজন চলছে। দেশের দুরা দুরান্ত থেকে রামন্দিরের এ পূজা দর্শনে সমবেত হচ্ছেন মানুষ।

স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের ডা. সুদীপ কুমার হালদার ও ডা. ¯িœগ্ধা চক্রবর্তী দম্পত্তির পারিবারিক আয়োজনে রাজ মন্দির এর আশপাশ জুড়ে প্রায় এক একর জমি জুড়ে ৩৫১টি প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। এ মন্ডপেমূল দূর্গা প্রতিমার পাশাপাশি দেবদেবীর নান্দনিক মূর্তি দিয়ে চার হাজার বছরের পুরানো পৌরাণিক কাহিনীকে তুলে ধরা হয়েছে। গত তিন বছর ধরে দুর্গোৎসবে হালদার বাড়ি ব্যতিক্রমী পূজামন্ডপ তৈরি করে থাকে। প্রথম বছর ৪৭ টি প্রতিমা সাজিয়ে পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। গতবছর এ রাজ মন্দিওে ১৫৭টি প্রতীমা দিয়ে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এবার প্রতিমার সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৫টি পৃথক মন্দির জুড়ে ৩৫১ টি পুতিমার পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ রাজ মন্দিরের পুজা মন্ডপের সব থেকে বড় আকর্ষণ হলো মন্ডপে প্রতিমার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে মহাভারতের কাহিনী। এখানে সর্বমোট ৩৫১টি প্রতিমার মধ্যে শিবের বিবাহ, দোক্ষ যজ্ঞ, হনুমান, দশানন রাবন, রাধাকৃষ্ণ, মা-যশোদা ও শ্রী কৃষ্ণ ,লক্ষ্মী, সরস্বতী, নারায়নসহ কলিযুগের বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা দর্শককে মুগ্ধ করেছে। এর পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক বিভিন্ন শিক্ষণীয় দৃশ্যও তুলে ধরা হয়েছে নানা প্রতীকি প্রতীমার মধ্য দিয়ে।

প্রতিমার কারিগর খুলনা কয়রা উপজেলার শংকর পাল জানান, তিনি গত ৪১ বছর ধরে বংশানুক্রমে প্রতীমা নির্মাণ করে আসছেন। তবে এক ম-পে ৩৫১টি প্রতিমা তিনি এবারই প্রথম নির্মাণ করেছেন।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান মিলু জানান, দুর্গোৎসব চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার সব পূজামন্ডপে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ এবং কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা উৎসব মুখর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সচ্ষ্টে আছি।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...