বিশেষ প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী-টগড়া ফেরি কচাঁ নদী পারাপারে প্রায়ই ডুবোচরে আটকে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়ে আসছিলো । নদীর মহনায় ফেরি আটকে পড়ায় বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলে বিঘ্সনহ ভোগান্তির শিকার হতো হাজার হাজার যাত্রীরা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তো ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া,পাথরঘাটা, আমুয়া,কাঠালিয়া উপজেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৩টি রুটের সড়ক পথের সাথে।
এ নদীর সাথে বাংলাদেশ-ভারত (অভ্যন্তরীণ) এবং খুলনা ও মংলার সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নৌ যোগাযোগ রয়েছে। নদীর নব্যতা হ্রাসের কবলে পড়ছে এ পথে চলাচলকারী বিআইডব্লিউটিসির রকেট-স্টিমার, সরকারি ও বেসরকারি অয়েল ট্যাংকার, কোস্টার, কার্গো, নৌবাহিনীর জাহাজ ইত্যাদি চলাচলে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।কঁচা নদীতে দীর্ঘ দিন ধরে ডুবোচরে জেগে ওঠায় নাব্যতা সংকটে পড়তে দেখে সমাধানে এগিয়ে আসেন সাবেক মন্ত্রী ,জাতীয়পার্টি জেপি চেয়ারম্যান ,১২৮- পিরোজপুর-২ এর (ভা-ারিয়া- কাউখালী-ইন্দুরকানী) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঐকান্তিক চেষ্টায় দক্ষিণ,পশ্চিম অঞ্চলের সাথে উত্তর অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের ব্যবসা,বানিজ্যসহ নানা ধরনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে কঁচা নদীর ডুবোচর খননের দ্রুত ব্যবস্থা করেন।
বিআইডব্লিউটিএর টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট (সিভিল) মিজানুর রহমান সোহেল জানান, কঁচা নদীর ৫০০ মিটার দীর্ঘ ও ২৩ মিটার চওড়া এলাকায় এই খনন কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখানে ৬৫ হাজার ঘনমিটার মাটি উত্তোলন করা হবে যা ২/১দিনের মধ্যে শেষ হবে। ইত্যেমধ্যে বরিশাল-ঝালকাঠি-ভা-ারিয়া-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ৫৩ কিলোমিটারে কঁচা নদীর চরখালী-টগড়া পয়েন্টের উভয় পাশে অবস্থিত ডুবোচর খননের (ড্রেজিং) কাজ বি.আই.ডব্লিউটিএর ড্রেজিং ডিপার্টমেন্ট থেকে সম্পন্ন করা হয়।
চরখালী-টগড়া ফেরির ইজারাদার কর্মী হায়দার আলী জানান, ডুবোচরের কারণে প্রায়ই ফেরি চলাচল ব্যাহত হতো। পন্য পরিবহনেও সমস্যার কোন শেষ ছিল না। অনেক সময় গাড়িসহ ফেরিগুলো ডুবোচরে দীর্ঘসময় ধরে আটকে থাকত। এমনকি এ্যা¤¦ুলেন্সে রোগিসহ ফেরি মাঝ নদীতে ঘন্টার পর ঘন্টা ডুবোচরে আটকে থাকায় রোগির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এখানে। এ সমস্যার একটা সমাদান হয়েছে।
চরখালী-টগড়া ফেরির চালক দেলোয়ার হোসেন জানান,শুকনো মৌসুমে ভাটিতে অনেক সময় ফেরি বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় নদীর উভয় প্রান্তে যানবাহনের লম্বা লাইন থাকতো। বর্তমানে সেসব চিত্র আর নেই। দূরন্ত গতীতে নিয়মিত ভাবে ফেরি চলাচল করছে। নির্বিঘ্নে যাত্রী সাধারণ পৌঁছে যাচ্ছে তাদের গন্তব্যে। সবার মাঝে এখন স্বস্তির নিশ্বাস।এ বিষয়ে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক খোকন জানান, ‘চরখালী-টগড়া ফেরিটি দক্ষিনাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু কঁচা নদীতে ডুবোচরের কারনে দীর্ঘ দিন ধরে বেশ কয়েকটি রুটের যানবাহন চলাচলে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বর্তমানে চরখালী-টগড়া ফেরিঘাট ব্যবহারকারী দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা, পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া, ভা-ারিয়া, কাঠালিয়া, পিরোজপুর রুটের যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে আর সমস্যা হচ্ছে না।