ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার কঁচা নদীর চরখালী মোহনার নাব্যতা সুরক্ষায় খনন কাজ আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। এর আগে শুক্রবার বিকালে সাবেক মন্ত্রী ও পিরোজপুর-২ আসনের (কাউখালী-ভান্ডারিয়া-ইন্দুরকানী) সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ইন্দুরকানী উপজেলার টগড়া ফেরীঘাটে এ খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পওে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।। এসময় পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মহারাজ, ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমান এডভোকেট, ভান্ডারিয়া উপজেলা জেপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার জোমাদ্দার ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে,বরিশাল-ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ৫৩ কিলোমিটারে কঁচানদীর চরখালী-টগড়া পয়েন্টের উভয় পাশে অবস্থিত ডুবোচর খননের (ড্রেজিং) এ কাজ বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং ডিপার্টমেন্ট থেকে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়কের চরখালী-টগড়া ফেরীঘাটে শুকনো মৌসুমে কঁচানদীর অংশ বিশেষের উভয় পাশে ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় ফেরী চলাচল ব্যহত হয়ে আসছিলো। এতে গাড়ীসহ ফেরী নদীবক্ষে ডুবচরে প্রায় আটকে যায় এবং দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে। পাশাপাশি নদীর দুই পাড়ে বহু যানবাহন যাত্রীসহ ঘন্টার পর ঘন্টা চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে কঁচানদীর মোহনায় নাব্যতা হ্রাসের কবলে পড়ে আন্তর্জাতিক নৌ-পথ বাংলাদেশÑভারত (অভ্যন্তরীণ) এবং খুলনা ও মংলার সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নৌ যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে এ পথে চলাচলকারী বিআইডব্লিউটিসি’র রকেট স্টিমার, সরকারি ও বেসরকারি অয়েল ট্যাংকার, কোস্টার, কার্গো, নৌ বাহিনীর জাহাজ, ভারতের পশ্চিম বঙ্গ থেকে মেঘালয় ও আসাম ইত্যাদি নৌ-পথ ব্যবহারে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র টেকনিক্যাল এসিস্টান্ট (সিভিল) মিজানুর রহমান সোহেল জানান, কঁচানদীর এই অংশ খনন সম্পন্ন হলে আঞ্চলিক মহাসড়ক ও এ নৌ-পথ ব্যবহারকারী যানবাহন সমূহ চলাচল সহজতর হবে। তিনি আরও জানান, ৫০০ মিটার দীর্ঘ ও ২৩ মিটার চওড়া এলাকায় এই খনন কাজ করা হবে এবং ৬৫ হাজার ঘনমিটার মাটি উত্তোলন করা হবে। আগামী এক মাসের এ খনন কাজ সম্পন্ন হবে। বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের আওতায় রক্ষণাবেক্ষণ ও জরুরী খনন কাজ করা হচ্ছে। কাজ সম্পন্ন হলে চরখালী-টগড়া ফেরীঘাট ব্যবহারকারী দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা, পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, কাঠালিয়া, পিরোজপুর রুটের যানবাহন চলাচলে দীর্ঘ ভোগান্তির অবসান হবে।