মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া একক আসনে মহাজোট কিংবা আওয়ামীলীগের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় দলের কেন্দ্রীয় মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ের লক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ যৌথ সভা করেছে। আজ শনিবার দলীয় কার্যালয়ে এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ সভায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে এ যৌথ সভায় বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর, সাবেক সভাপতি একেএম সেলিম মিয়া, পৌর আওয়ালীগ সভাপতি আফজাল হোসেন, আওয়মীলীগ সহ-সভাপতি ফারুক্জ্জুামান, যুগ্ম সম্পাদক খলিলুর রহমান আকন, পৌর আওয়ালীগ সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বেপারী, বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাকসুদা আক্তার বেবী, জেলা পরিষদ সদস্য হেলাল মুন্সি, প্যানেল মেয়র মঞ্জুর রহমান শিকদার, আ’লীগ সদস্য শরীফ, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় নেতা মেজবা উদ্দিন প্রিন্স, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি ভাইজিদ আহম্মেদ খান, ইউপি চেয়ারম্যান, রিয়াজুল ইসলাম ঝনো, হারুন-অর-রশীদ, রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার, নাসির উদ্দিন, যুবলীগ সভাপতি শাকিল আহম্মেদ নওরোজ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের কেউ নির্বাচনে প্রার্থী ও প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আওয়ামীলীগের এ যৌথসভায় দলের তিন নেতা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়া আসনে মহাজোট প্রত্যাশী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বর্তমান এমপি ডা. রুস্তম আলী ফরাজী জোটগত মনোনয়ন পাওয়ার খাবর ও নৌকা প্রতীকে কোন প্রার্থী ঘোষণা না করায় মঠবাড়িয়া আসনে নির্বাচনকে ঘিরে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। দলের ভেতর নানা দ্বিধা বিভক্তির কারনে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মাঝে নানা উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ার হোসেন, স্বাচিপ নেতা ডা. এম নজরুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান মনোনয়নপত্র দাখিল করায় এ আসনে আওয়ামীলীগ নির্বাচনী জটিলতার মধ্যে পড়েন। আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনায়ন না পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মো. আশরাফুর রহমান পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এছাড়া দলের ভেতর আরও দুই নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে এ আসনে মহাজোট ও আওয়ামীলীগের নির্বাচন নিয়ে নানা দ্বিধা বিভক্তির সৃষ্টি হয়। আওয়ামীলীগের একটি বৃহৎ অংশ এ আসনে জোটের প্রার্থী নয় তারা চাইছেন নৌকার মনোনয়ন। ফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ছাড়া মহাজোটের শরীক দলের অন্য কোন কোন প্রার্থী মনোননীত হলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ভেতর দলীয় কোন্দলের আশংকা দেখা দিয়েছে।