ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - চাঁদনী রায় এর পঞ্চকাব্য

চাঁদনী রায় এর পঞ্চকাব্য


🐦
কবিতিা

কবিতা তুমি জাগ্রত বলে
আজ শত হাজার কবি।
কবিতা তুমি একাত্তর বলে
মহান জয়ী বঙ্গবন্ধু।
কবিতা তুমি আসবে বলে
আজ আমার হাতে লেখা।
কবিতা তুমি চির উৎসব
মহিয়ান দুরন্তপনা।
তোমার ভিতরে সাহিত্যের
কখনো জোয়ার কখনো
ভাটা।
কবিতা তুমি চির ইতিহাস।
কবিতা তুমি মায়ের গল্প
বাবার স্নেহ আর ভালোবাসা।
কবিতা তুমি উদাস দুপুর
মেঘলা আকাশ হিমেল বাতাস।
কখনো তুমি রবীন্দ্রনাথ,কখনো
শরৎ কখনো বঙ্কিম।
কবিতা তুমি বাংলার ইতিহাস।
উদ্দাম নৃত্য আবার দুঃখিনী
মায়ের কোল।
মহা সাগরের ঢেউ,আবার ঘন
বস্তির কোলাহল।
বসন্তের গান ঘরোয়া বধূর
খোলা চুল।
কবিতা তুমি স্বামী হারানো
বিধবার বেশ।
কবিতা তুমি প্রেমিকার আর্তনাদ।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম স্পর্শ।
মধ‍্যো বয়সী নারীর হাতছানি।
কবিতা তুমি হাজার ভাইয়ের
তাজা রক্ত,মায়ের বোনের
হারানো ইজ্জত।কবিতা
কবিতা কবিতা কবিতা
তুমি ই তো সব ই।

🐦
অভিশপ্ত রাত

প্রতি রাত যে তার জন্য অভিশপ্ত
হয়ে ছিলো।আর কান্নার মিছিল।
নিস্তব্ধ হয়ে গাছের সারি শুধু
দাঁড়িয়ে ছিলো।আর আকাড়ে
ধরে ছিলো শুধু কুয়াশারা।
আর হাঁসতে হাঁসতে গা ভাসিয়ে
ছিলো ঘাসফুলের সমাহার।
এমন রাতে মা হারা বাবা হারানোর
দস‍্যি মেয়ে ছিলো একা।
শুধু উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে ফাঁকা
ছনের ছাউনি দিয়ে চাঁদ মামা।
খানিক বাদে মধ‍্যো রাত
দস‍্যি মেয়ে অথই ভুলে গিয়েছিলো
খানিক সময়ের জন্য প্রতি রাতেই
বাবার সমতুল‍্য বড় বাবু আলিঙ্গন।
অথই নামেই যেন গ্রস করেছে তাকে।
আর সে যে ঠাঁই পেলো না।
সুন্দর পৃথিবীর ছেড়ে যেতে
ইচ্ছে করছিলো না তাই শরীরের
শিহরণ শুধু বড় বাবু আলিঙ্গন করলো।
সেদিনের প্রথম রাতে অর্ধ মৃত।
আর প্রতি রাতেই বারে বার মৃত হচ্ছে।
আরো পাঁচ টি মেয়ের মত শখ আহ্লাদ
বিহীন,কাঁদিয়ে বেরাতো নিস্পন্দনের
মত। তবু ও জীবনের মায়ায় বেঁচে আছে।
তবু ও সঙ্গি বিহীন দস‍্যি মেয়ে ভাবতো
জীবন এতটাই কঠিন,জীবন এতটাই
মধুর। যেখানে সব পাপী লোকের উর্ধ্বে।

🐦
জীবন
জীবন শুধু রং বদলায় কখনো মায়ের কোলে।
কখনো মদের আসরে, কখনো গানের মাঝে।
সাজানো কফি আড্ডায়। কখনো প্রিয় জনের আল্ত ছোঁয়ায়।
স্মৃতিরা হারিয়ে যায় না শুধু হারিয়ে যায় ভালোবাসা।
জীবন শুধু রং বদলায়। থেকে যায় সূচনা ময় বেদনা।
অশ্রু ঝরে যায় কপোলে হয়ে যায় কপোতাক্ষ নদ।
বিলাসীর সিথীর সিঁদুর দেওয়া শুধু স্বপ্ন থেকে যায়।
শুধু ধোঁয়ারা বাঁধে বাসা‌ না দেখা আগুনে দগ্ধ হয় দূর আকাশের নীল আশা।
🐦
খানিক দেখা
বছর দশেক পরে খানিক দেখা সেই কমলাপুর রেলস্টেশনের ভীরের মাঝে!
তোমার গায়ে গাঁঢ়ো নীল টি শার্ট।
যত দেখছি আর ভাবছি সেই রক্তাক্ত চোখ দুটো আজ বড্ড শান্ত সাংসারিক।
আমার দেখায় তুমি ছিলে অস্থির মাখা।
আজ কেমন জানি তুমি নিস্তেজ।
আচ্ছা আমার মত সে ও তোমায় ভালোবাসি বলে?
আমার মত সে ও কি তোমার বকুনি খেয়ে কাঁদে?
নাকি তুমি তাকে শান্ত করতে বুকে জরিয়ে ধরো!
নাকি চোখের জল মুছে দিয়ে বলো রাগ করো না,রাগ করো না,
পাগলী আমার ঘুমিয়ে পড়ো।
আচ্ছা আমায় নিয়ে যখন ঘুরতে যেতে টিএসসি চত্বরে!
তখন আমি তোমার দু হাত চেপে ধরে বলতাম ফুচকা খাবো
,আর তুমি বলতে এগুলো তোমাকে খেতে দিবো না এগুলো খেলে শরীর খারাপ করবে।
চলো ভালো কিছু খাবে।
তোমার নতুন পাগলী টা এমনি করে দুই হাতে বাহুডোরে আবদ্ধ করে বলে চলো ঘুরে আসি।
তুমি কি আগের মত এখন ও রাগ করে না খেয়ে থাকো?
নাকি তোমার আদুরে ঘরের লক্ষী ভাত মেখে মুখে তুলে দেয় আর বলে রাগ করো না,
আমি আছি তোমার কাছে পাশে।
তুমি কি এখন ও রোজ সন্ধ্যায় কফি খাও?
তখন তুমি কফি খেতে আর আমাকে ফোনে বলতে ভালোবাসি ভালোবাসি।
নাকি তোমার আদুরী কে জরিয়ে ধরে বলো বেশ দারুন হয়েছে কফি টা।
তোমার কি একটুও মনে পরে না আমাকে?
আমার তো মনে পরে দুমরে মুচড়ে যায় হাহাকার করা হৃদয়।
আর আমার ভিতরের মনুষ্যত্ব।
তুমি এমন কি করে পারলে?
তুমি তো আমার ছিলে, এখন ও আমার আমার থাকবে, তুমি শুধু আমার।
🐦
যাবে তুমি
আমায় নিয়ে যাবে তুমি হয়তো হিমছড়ি-
!আমি গাঁথবো কথা আঁকবো ভাষা তুলবো আশা আশা।
আমি উড়বো হাওয়ায় দুলবো মায়ায় তোমার তালে তালে।
তুমি আমার আমি তোমার সুজন দুজন মাঝি।
ঘাস ফুলের তাজা প্রাণ দিবে তোমায় বিনোদন।
আর আমি হাসবো শুধু অট্টহাসি। তুমি ধরতে গিয়ে দিবে ফাঁসি সোহাগ রশিতে।
হিমছড়ির ঐ স্বাধীন হাওয়ায় উড়িয়ে চুল দুলিয়ে কানের দুল,
হাটবো রাঙ্গা পায়।
লুকিয়ে লুকিয়ে ভয় দেখাবো খুঁজবে আমায় ভাসিয়ে তোমার প্রাণ।
কানামাছি খেলা ছেড়ে হেঁটে হেঁটে জরিয়ে ধরে বলবো
আমি আছি পাশে তুমি হাঁটো বারে বারে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...