পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি 🔹
গভীর সমুদ্রে হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় চারদিন পর দুই ট্রলারসহ ৩৯ জেলের সন্ধান পাওয়া গেছে ভারতে। রবিবার ভোর রাতের দিক ভারতের দক্ষি ২৪ পরগনা জেলার ঝাউতলা নামক স্থান থেকে ট্রলারসহ ৩৯ জেলে রওয়ানা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ তারা পাথরঘাটায় পৌছাতে পারে বলে জেলা ট্রলার মালিক সমিতি নিশ্চিত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে ফেয়ারওয়েবয়া, নারিকেলবাড়িয়া, দুবলাসহ একাধিক জায়গায় পৃথক অন্তত ৯টি ট্রলার ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার দুদিন পর শনিবার ভাসমান ১১৩ জেলে উদ্ধার হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫২জন জেলে উদ্ধার হয়। তাদের বাড়ি বরগুনা, পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলায়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বঙ্গোপসাগরে ঝড়কবলিত হয়ে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে বাঙলাদেশের ট্রলার। ভারতের ঝাউতলা এলাকা থেকে রবিবার ভোররাতের দিকে পাথরঘাটার আলম মোল্লার মালিকানা এফবি মহসিন আউলিয়া-৫ ট্রলারের ২২ ও বরগুনা সদর উপজেলার মো.পনু আকনের মালিকানা এফবি সুজনের ১৭ জন রওয়ানা হয়েছে। তারা সকলেই অক্ষত রয়েছে, তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ্য রয়েছে বলেও তিনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কালেরকন্ঠকে জানান।
এদিকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো ৩ ট্রলারসহ ৪৮ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে পাথরঘাটার জসিমের মালিকানা এফবি মা ট্রলারের ১৭, হারুন হাওলাদারের মালিকানা এফবি তানজিলা ট্রলারের ১১ জন, ছগির পহলানের মালিকানা এফবি আরমান ট্রলারের ৪জন ও মহিপুরের জাকিরের মালিকানা এফবি জাহানারা ট্রলারের ১৬। নিখোজদের উদ্ধারের জন্য নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযান অব্যহত রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খুলনার ক্যাম্পের লে. ফরিদ বলেন, আমাদের টিম সার্বক্ষনিক উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. মাহমুদ আলী বলেন, আমাদের সুন্দরবন কেন্দ্রিক সকল ক্যাম্পের সদস্যরা সাগরে অভিযানে রয়েছে