ব্রেকিং নিউজ
Home - এক্সক্লুসিভ - মঠবাড়িয়ার মিরুখালী-আমুয়া বেহাল সড়ক নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মঠবাড়িয়ার মিরুখালী-আমুয়া বেহাল সড়ক নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালী-আমুয়া বেহাল সড়কটি দ্রুত নিমার্ণের দাবিতে ভূক্তভোগি এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। মঠবাড়িয়ার উত্তর অঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে আজ বুধবার সকালে চার কিলোমিটার বেহাল সড়কে প্রবলবর্ষণ উপেক্ষা করে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে । এতে ভূক্তভোগি এলাকাবাসি, একটি কলেজ, দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাদ্রাসা.তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মিরুখালী ও নতুন বাজারের ব্যবসায়িরা অংশ নেন।
সাড়ে চার কিলোমিটার বেহাল সড়কজুড়ে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক জনতা অংশ নেন।
শেষে মিরুখালী বন্দরের হাসপাতাল মোড়ে মঠবাড়িয়ার উত্তর অঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্য আলমগীর হোসেন খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, আ.লীগ নেতা বজলুর রহমান খান, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন, ইউপি সদস্য শামীম মিয়াজী, আ.লীগ নেতা আব্দুল মুকিত খান ফরু, সমাজসেবক নজরুল ইসলাম, সগীর মৃধা,শিক্ষক এনামুল হক পিন্টু, শিক্ষক একেএম শাকিল আহম্মেদ, ব্যবসায়ি কামাল আকন ও মনির মোল্লা প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মঠবাড়িয়ার মিরুখালী-আমুয়া মিরুখালী বেহাল সড়কের কারনে চরম জনদুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে বেহাল সড়কটি পাকা করণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, মঠবাড়িয়ার মিরুখালী-আমূয়া সড়কটি দীর্ঘ কয়েকযুগ ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এ সড়কের কাঁঠালিয়া উপজেলার আমূয়া অংশের সড়ক পাকা থাকলেও মঠবাড়িয়া অংশের মিরুখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে নতুন বাজার পর্যন্ত সড়কের অবস্থা এমনই বেহাল যে যানবাহন চলাচল তো দুরে থাক মানুষের পায়ে চলাও কষ্টকর।
ভূক্তভোগি এলাকাবাসিরা জানান, মিরুখালী ইউনিয়ন বন্দর হয়ে আমূয়া বন্দর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ দেশের দুরদুরান্তে সড়ক ও নৌপথে যাতায়াত করে থ কেন। আমূয়া থেকে সড়ক ও নৌপথে বরিশাল,ঢাকাসহ দুর দুরান্তের মানুষ এসড়কটি ব্যবহার করে করে আসছেন। বর্তমানে আমূয়া বন্দরে একটি সেতু নির্মাণের ফলে এ রুটে মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সড়কটির মঠবাড়িয়া অংশের অন্তত ৪ কিলোমিটার চরম বেহাল দশা। চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কটির ইট মাটির নিচে দেবে যাওয়ায় এটি এখন পুরোটাই কাদা সড়কে পরিনত হয়েছে। ফলে এ সড়কে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে মানুষ বাড়তি ৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে ভগীরথপুর হয়ে কাঁঠালিয়া উপজেলার মরিচবুনীয়া হয়ে আমূয়া বন্দরে যাতায়াত করে থাকেন। এতে জনদুর্ভোগ, বাড়তি সময় ও অর্থের অপচয় ঘটছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...