মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালী ও ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার আমুয়া সংযোগ সড়কটি দীর্ঘ কয়েকযুগ ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এ সড়কের আমূয়া অংশের সড়কটি কিছুটা পাকা থাকলে মঠবাড়িয়া অংশের মিরুখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে নতুন বাজার পর্যন্ত সড়কের অবস্থা এমনই বেহাল যে যানবাহন চলচল দুরে থাক মানুষের পায়ে চলাও কষ্টকর। বেহাল সড়কটি পাকা করণের দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেও এলকাবাসি এ সড়কের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পায়নি।
ভূক্তভোগি এলাকাবাসি জানান, মিরুরখালী বন্দর হয়ে আমূয়া বন্দরে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। আমূয়া থেকে সড়ক ও নৌপথে বরিশাল,ঢাকাসহ দুরদুরান্তে মানুষ এসড়কটি ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে আমূয়া বন্দরে একটি সেতু নির্মাণের ফলে এ রুটে মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সড়কটির মঠবাড়িয়া অংশের অন্তত ৪ কিলোমাটার বেহাল দশা। চলত িবর্ষা মৌসুমে সড়কটির আট মাটির নিচে দেবে যাওয়ায় এটি এখন পুরোটাই কাদা সড়কে পরিনত হয়েছে। ফলে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে মানুষ অন্তত বাড়তি ৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে ভগীরথপুর হয়ে কাঁঠালিয়ার মরিচবুনীয়া হয়ে আমূয়া বন্দরে যাতায়াত করে।
স্থানীয় সমাজসেবক মো. হানিফ খান রাস্তা পাকা করণের দাবি জানিয়ে বলেন, মিরুখালী-আমূয়া সড়কটি কাদা সড়ক। রাস্তা পাকা না করলে এলাকাবাসি এখন এতে চাষাবাদ করতে পারে।
এ ব্যাপারে মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্য মো. আলমগীর হোসেন জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ সড়কটি দেখার যেন কেউ নেই। সড়কের মিরুখালী থেকে দাউদখালীর নতুন বাজার পর্যন্ত সড়ক খুবই বেহাল দশা। এই মূহুর্তে হাটু পরিমান পানি কাঁদায় ভরপুর। রাস্তার ইট মাটিতে দেবে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে মানুষ খুবই ঝুকি নিয়ে মটর সাইকেলে যাতায়াত করছে। অনেকেই দূর্ঘটনার শিকার হওয়ায় বর্তমানে যানবাহন চলা তো দুরে থাক পায়ে হাটও দুস্কর। অথচ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে।
তিনি আরও জানান মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে এলাকাবাসি কয়েকদফা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে সড়কটি পাকা করণের দাবি জানিয়ে আসছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সড়কটি দেখার মত বুঝি কেউ নেই।