বিশেষ প্রতিনিধি >>
ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াসহ সারা উপকূল জুড়ে আজ সোমবার দুপুরে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। দিনভর গুমোট আবহাওয়ায় ও বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত ঘটছে। এতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বলেশ্বর নদ তীরবর্তী এলাকার মানুষজন ইতোমধ্যেই ঘরের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। সবচেয়ে আতংকে রনয়েছেন বেড়িবাঁধ তীরে আশ্রিত মানুষজন। এসবএলাকবার মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।মাঝের চরবাসি ঝড় ও জলোচ্ছাসের আতংকের মধ্যে রয়েছেন।
বলেশ্বরের মাঝের চর ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের ওয়্যারলেস অপরেটর আব্দুিল হালিম জানান, চরবাসিদের সন্ধ্যার আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য মঠবাড়িয়ায় ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। প্রশান সারারাত জুড়ে কন্ট্রোলরুম খোলা রাখার ব্যবস্থা নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও প্রস্তুতি বিষয়ে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যার পরে প্রশাসনের পক্ষ হতে পৌর শহর ও ১১ ইউনিয়ন বাজারে মাইকিং করে জনসাধারণকে ঘুর্ণিঝড় সম্পর্কে আগাম সতর্ক থাকার পরামর্শ জানিয়ে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্র আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। শহরের দোকানপাট সন্ধ্যার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্যোগ কবলিত আবহাওয়ার কারনে উপকূলে বিদ্যুত বিভ্রাট ঘটছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ২০০৭ সালের ঘুর্ণিঝড় সিডরের ভয়ালতা বিরাজ করছে মানুষের মনে। মানুষের আশংকা আজ রাতে ঝড় বইতে পারে। মানুষজনের তাই রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। উপকূলে ৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেতে জনমেনে বিরাজ করছে বিপর্যয়ের আতংক।