দেবদাস মজুমদার >>
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নির্যাতিত এক নারীর সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি ছবি বানাতে একজন তরুণ নির্মাতা একটি গ্রামে যান। একই গ্রামে তিনি আরও একটি নতুন গল্পের সন্ধান পান। এই ছবিতে মূলত সেই গল্পের ভেতরের গল্পটি তুলে এনেছেন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা রেজা ঘটক। কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক এর কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘হরি বোল’’ চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ চলছে।
ভিন্ন ধারারা এই চলচ্চিত্রটি পিরোজপুরের বলেশ্বর নদ তীরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছবিটির দৃশ্যধারন প্রায় শেষের পথে। ফারাক্কা বাঁধের পর পদ্মা নদীতে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় বলেশ্বর নদ ও তার শাখা-প্রশাখাগুলো ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছে। বলেশ্বর নদের তীরবর্তী জনপদের সেই দুঃখ-দুর্দশা, হতাশা-প্রত্যাশা, ভালোবাসা ও প্রচলিত জীবনধারার ছবি ‘হরি বোল’ । এসব ঘটনা ঘিরেই রেজা ঘটকের ডেব্যু ছবি ‘হরি বোল’।
‘হরি বোল’ ছবিতে বাংলাদেশের একটি সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের সমাজ কর্তৃক নীপিড়নের চিত্র দেখা যাবে। যেখানে নিতাই ও পারু সেই নীপিড়নের শিকার। এক পর্যায়ে তাদের সংসারও ভেঙে যায়। পাশাপাশি সেই প্রান্তিক গ্রামের কৃষ্টি ও ঐতিহ্য ‘হরি বোল’ ছবিতে নানাভাবে ফুটে ওঠে। ‘হরি বোল’ ছবির গল্পটি খুব পরিচিত হলেও সমাজের ভেতরের সেই দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান কুটক্যাচালের কোনো পরিসমাপ্তি হয় না।
ভিন্নধারার এ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে ‘বলেশ্বর ফিল্মস’। আর নির্মাণ কাজটি করছে ‘টিম বলেশ্বর’ নামের একটি ফিল্ম ইউনিট। চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে জড়িত এক ঝাঁক চৌকশ তরুণের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘টিম বলেশ্বর’।
পরিচালক রেজা ঘটক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ‘হরি বোল’ ছবির পোস্ট-প্রোডাকশন কাজ শেষ হবে বলে। ছবিটির প্রিমিয়ার শো হবে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদ তীরে একটি নিভৃত গ্রামে । পরে ছবিটি দেশ জুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পাবে।
হরি বোল চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, ইকতারুল ইসলাম, কাজী ফয়সল, সেলিম হায়দার, নলিনী মণ্ডল, জাহিদ হোসেন, তৃপ্তি সরেন, রণজিৎ মণ্ডল, বিধান বিশ্বাস, প্রণব দাস, এমদাদ হাওলাদার, মনোজ মন্ডল, সুনীল মণ্ডল, গৌতম, প্রেমানন্দ, শমেস, আকাশ, অনিক, উৎস, অমিত, বিদ্যুৎ, মহানন্দ, লংকেশ্বর, ববি, শিপুল, আরতী, বাসন্তি, নির্মল প্রমুখ।