ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি >
বখাটের কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় দরিদ্র জুতা কারিগর(মুচি) পরিবারের গৃহবধূ গীতা রানী দাসের(২৫)ওপর রাত গভীরে হামলা চালিয়েছে এক বখাটে। এসময় ওই বখাটে গৃহবধূর দেবর তপন দাস(২০)কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। বখাটে এতেই ক্ষান্ত হয়নি ওই সংখ্যালঘু পরিবারের বসতঘরের বেড়া ও মালামাল তছনছ করে । বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের নদমূলা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত তপন দাসকে ভা-ারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ও আহত গৃহবধূকে প্রাথমিক চিকিতসা দেওয়া হয়েছে।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার নদমূলা গ্রামের জুতা কারিগর(মুচি) স্বপন দাস সম্প্রতি একটি মামলায় পিরোজপুর জেল হাজতে রয়েছেন। এই সুযোগে স্থানীয় মোকসেদ আলী মাতুব্বরের ছেলে মাদকসেবী বখাটে মামুন মাতুব্বর গত কয়েকদিন ধরে স্বপন দাসের স্ত্রী গীতা রানীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বখাটে মামুন মাতুব্বর ওই গৃহবধূর ঘরের বেড়া ভেঙে প্রবেশ করে। এরপর গৃহবধূর দেবর তপন দাসকে ঘুম থেকে তুলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট শুরু করে। এসময় ঘরের অন্য কক্ষ থেকে গীতা রানী ছুটে এসে বাঁধা দিলে বখাটে মামুন ওই গৃহবধূর চুলের মুঠি ধরে মারধর করে। এক পর্যায় আহত গৃহবধূ ও তার দেবর ডাক চিতকার দিলে বখাটে মামুন ঘরের বেড়া ও মালামাল তছনছ করে পালিয়ে যায়। পরে প্রাণহানীর আশংকায় আহত গৃহবধূ স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত হোসেন সাখাওয়াতের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ইউপি সদস্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
এ ঘটনায় আহত গীতা রানী দাস বাদি হয়ে অভিযুক্ত বখাটে মামুন মাতুব্বরকে আসামী করে ভা-ারিয়া থানায় আজ শুক্রবার দুপুরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত গৃহবধূর দেবর তপন দাস অভিযোগ করেন, বখাটে মামুন তার ভাইয়ের স্ত্রীর নামে মিথ্যা দুর্নাম রটিয়ে গভীর রাতে এ হামলা চালায়। মামুনের ভয়ভীতির কারনে তাদের পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নদমূলা গ্রামের ইউপি সদস্য মো. শওকত হোসেন সাখাওয়াত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ ও তার পরিবার হামলার শিকার হয়ে আমার বাড়িতে আসলে তাদের হাসপাতালে পাঠাই। তাদের থানায় মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছি। অসহায় দরিদ্র সংখ্যালঘু একটি পরিবারের ওপর রাত গভীরে এই হামলা দু:খজনক ।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনা সরেজমিনে তদন্তে থানার একজন উপ পরিদর্শককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।