ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার নামে ধর্ষণ – ধর্ষকসহ সৎ মা, নানা ও নানী আসামী

মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার নামে ধর্ষণ – ধর্ষকসহ সৎ মা, নানা ও নানী আসামী

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি > পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণী পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে(১৩) তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের নামে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক আব্দুল মালেক(৪৫) ওই স্কুল ছাত্রীকে তার সৎ মা, নানা ও নানীর সহযোগিতায় দ্বিতীয় বিয়ের চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়ে মেয়েটিকে জোর করে ধর্ষণ করে। উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের মাঝেরচর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগি মেয়েটি উপজেলার জানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণেিত লেখা করছে।
এ ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিত মেয়েটির সৎ বোন বাদি হয়ে শনিবার দিবাগত রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলায় দায়ের করে। অভিযুক্ত ধর্ষক আব্দুল মালেক উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের ভোলমারা গ্রামের মৃত জোনাব আলী হাওলাদারের ছেলে । এ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে ভূক্তভোগি মেয়েটির সৎ মা, নানা ও নানীকে আসামী করা হয়েছে। অভিযুক্তরা মামলা দায়েরের পর পলাতক।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের মাঝেরচর গ্রামের দরিদ্র স্কুল ছাত্রীর মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা তৃতয়ি বিয়ে করেন। এরপর থেকে মেয়েটির ওপর চরম অবহেলা নেমে আসে। মেয়েটিকে তার পড়াশুনা বাদ দিতে ও সংসার থেকে বিদায় দিতে বিয়ের চেষ্টা শুরু করে তার সৎ মা , নানা ও নানী। গত ৯ জুলাই তারা স্কুল ছাত্রীকে না জানিয়ে সৎ মা নাজমা বেগম টাকার বিনিময়ে বিয়ে ঠিক করে বাবার বয়সী বিয়ে পাগল বর আব্দুল মালেকের সাথে। এরপর জোর করে মেয়েটিকে ওই লম্পটের কাছে তুলে দেয় মেয়েটির সৎ মা, নানা ও নানী। লম্পট আব্দুল মালেক এর আগে চারটি বিয়ে করে। সে নিসন্তান বলে আবার বিয়ে করছে এমন অজুহাতে সে মেয়েটির সৎ মাকে টাকা ও নানা প্রলোভনে ম্যানেজ করে মেয়েটিকে বেড়ানোর কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর লম্পট মালেক মেয়েটিকে স্ত্রী দাবি করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। গত ১৮ জুলাই মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। পর দিন স্কুল ছাত্রী স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পালিয়ে এসে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি অবহিত করে বিচার দাবি করে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান এ ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য মেয়েটিকে থানায় পাঠিয়ে দেয়।
শনিবার রাতে মেয়েটির এক সৎ বোন বাদি হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় চারজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার বেতমোর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিত মেয়েটি আমার কাছে বিচার দাবি করে। এ ঘটনা শালিসযোগ্য নয় বলে থানায় পাঠিয়েছি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী সনদের জন্য আজ রবিবার পিরোজপুর জেলা সিভিল মার্জণ কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...