মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ধর্মীয় সংগঠনের কমিটি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তিন হিন্দু নেতার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত নয়টার দিকে পৌর শহরের সদর রোডের একটি জুয়েলারী দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ উপজেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি দেব দুলাল হাওলাদার (৪৭), বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় (৪২) ও , উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কৃষক লীগ নেতা শ্যামা শংকর রায় (৪৯) আহত হন। এদেন মধ্যে দেক দুলাল হাওলাদার এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আজ শুক্রবার দুপুরে তাকে বরিশাল শেওে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানাগেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নব গঠিত কমিটি নিয়ে দুই পক্ষো নানা মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধওে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত নয়টার দিকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান পরিষদ এর সভাপতি শিক্ষক কাজল চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক পার্থ বেপারী , বাবুল চন্দ্র কির্তুনিয়া ও তার ছেলে ধ্রুব কির্তুনিয়াসহ ২০ থেকে ২৫জন মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এসময় সংগঠনের প্রতিপক্ষ তিন নেতা আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত শ্যামা শংকর ও উত্তম রায়কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে গুরুতর আহত দেবদুলাল এর চোখ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে তাকে বরিশাল শেরবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।।
আহতদেও অভিযোগ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ইউনিয়ন কমিটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না হওয়ায় দেব দুলাল, উত্তম কুমার ও শ্যামা শংকরদের সাথে ২০ থেকে ২৫ দিন পূর্বে কথা কাটাকাটি হয়। গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে ১০ থেকে ১২ দিন পূর্বে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে উপজেলা কমিটি গঠনও গঠন করা অভিযোগ ওঠে। এতে সভাপতি কাজল চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক পার্থ চন্দ্র বেপারী নির্বাচিত হন ।
আহত শ্যামা শংকর বলেন, ভূমি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে ছিলাম। এসময় শিক্ষক কাজল চন্দ্র দাস, বাবুল চন্দ্র কির্তুনিয়া,পার্থ বেপারী কিছু দলবলসহ ছেলেদের নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। পিছন থেকে কিল, ঘুশি ও হাতুড়ি দিয়ে আমার কনুই আঘাত করে।
তবে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা কমিটির সভাপতি কজল চন্দ্র দাস হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা আমার বাসায় ইট পাটকে ও লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এসময় ইট এসে আমার স্ত্রীর গলায় পড়ে কেটে যায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দন করেছে । লিখত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।