পিরোজপুর প্রতিনিধি 🔴🟢
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে একই অফিসের বর্তমান ও সাবেক ৭ জন প্রশিক্ষক সহকর্মীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজ শনিবার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে পিরোজপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পিরোজপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক শাহাজাদী খান অভিযোগ করেন, ওই অফিসে দিলরুবা পারভীন ওরফে রওশন তার এক বোন আফসানা আক্তার মিমি একটি প্রকল্পে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। অন্য আর এক বোন নূরে জান্নাত ফেরদৌস প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে কর্মরত আছে।
আফসানা আক্তার মিমি একনাগারে সাড়ে ৬ মাস অফিসে অনুপস্থিত থাকার পরও একদিন অফিসে এসে হাজিরা খাতায় একবারে সব স্বাক্ষর করে সে। অন্যদিকে রওশনের কর্মস্থল পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় হলেও, সে ২০১১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১২ বছর মূল পদ ও ডেপুটেশনে পিরোজপুর জেলা অফিসে কর্মরত আছে। বর্তমানে পুরো অফিস তার নিয়ন্ত্রণে। ওই অফিসে কর্মরত রাজস্ব খাতের একজন এবং ‘জীবিকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতা অর্জন’ প্রকল্পের ৪ জন রওশন এবং তার বোনদের অত্যাচারে অতিষ্ট। তাদের অত্যাচারে ওই অফিসের প্রশিক্ষক ফারজানা আক্তার রুমা ২০১৬ সালে চাকুরি ছেড়ে চলে যায়। এছাড়া আরেক প্রশিক্ষক তটিনী মন্ডলকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। এছাড়া তাদেরকে সঠিকভাবে কোন দায়িত্বই পালন করতে দেয় না রওশন ও তার বোন মিমি। সাবেক জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মামুন-উর-রশীদ এর সময় রওশনদের দৌরাত্ম শুরু হয়। বর্তমান উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন এর কাছে কোন অভিযোগ দিলে তিনি অভিযুক্ত রওশন এর ঘনিষ্ট আত্মীয় হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপও নেন না।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোঃ জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে তার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করে নাই। এছাড়া অফিসের সবাই তার আপন। আর ছুটি থাকা অবস্থায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করায় আফসানা আক্তার মিমিকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং সে তার সঠিক জবাবও দিয়েছে।
Home - অপরাধ - পিরোজপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে প্রশিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন