ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় চাচার বিরুদ্ধে মা ও মেয়েকে বসতবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দখলের অভিযোগ

মঠবাড়িয়ায় চাচার বিরুদ্ধে মা ও মেয়েকে বসতবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দখলের অভিযোগ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি 🔴🟢

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পিতার বসতবাড়ি হতে মেয়ে ও মাকে জোরপূর্বক নামিয়ে দিয়ে বসতঘর ও প্রেত্রিক সম্পতি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিলাবাদ গ্রামের চাচা মো. নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে তার বড় ভাইয়ের মেয়ে লিমা আক্তার আজ মঙ্গলবার দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। এসময় অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের বড় ভাইয়ের স্ত্রী রীমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
ভূক্তভোগি লিমা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার পিতা উপজেলার দক্ষিণ গিলাবাদ গ্রামের মো. দুলাল মিয়া নিজ স্ত্রী ও মেয়ে লিমা আক্তারকে গ্রামের বাড়িতে রেখে সৌদিআরবের জেদ্দা শহরে কর্মরত ছিলেন। এসময় তার পাঠানো টাকায় গ্রামের বাড়িতে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে মা ও মেয়ে বসবাস করে আসছিলো। গত ২০১৭ সালের ৩ জুন সৌদিআরবে কর্মরত অবস্থায় লিমার বাবা দুলাল মিয়া অসুস্থ হয়ে মারা যান। এর পর তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম সকল জমিজমা আত্মসাত করার জন্যে মৃত বড় ভাইয়ের ¯ী¿ ও একমাত্র মেয়েকে উচ্ছেদের পায়তারা শুরু করে। এজন্য সে মৃত ভাইয়ের স্ত্রীর নামে ভূয়া তালাকনামা তৈরী করে বড় ভাইয়ের স্ত্র ও মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর মা ও মেয়েকে মারধর করে মা ও মেয়েকে বসতঘর হতে বের করে দেয়। এ নির্যাতন ও বসতঘর থেকে মা ও মেয়েকে বিতাড়নে লিমার এক ফুপু শিউলী আক্তারও অংশ নেয়।
নির্যাতিত লিমা আক্তার অভিযোগ করেন, তার মৃত প্রবাসি পিতার জে.এল ৩১ নম্বও গিলাবাদ মৌজার এস.এ ১৮২৯ নম্বর দাগে নির্মিত পাকা বসতবাড়ি বেআইনীভাবে জবরদখল করে নেয় চাচা নজরুল ইসলাম। এরপর মা ও মেয়ে গৃহহারা হয়ে নানা বাড়িতে আশ্রয় নেন। ন্যায় বিচারের আশায় স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে ধর্ণ দিয়েও নির্যাতিত মা ও মেয়ে কোনো প্রতিকার পায়নি। উল্টো অভিযুক্ত চাচা তার ভাইয়ের মেয়ে ও মায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও জিডি করে হয়রাণি করে আসছে। পিতৃ বসতঘর ও সম্পত্তিতে ন্যায্য অধিকারের জন্য নির্যাতিত লিমা আক্তার ও তার বিধাব মা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত চাচা নজরুল ইসলাম ভাইয়ের বিধাব স্ত্রী ও সন্তানকে বসতবাড়ি হতে বিতাড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পৈত্রিক জমিজমার বিষয়ে আমি আদালতে একটি বন্টন মামলা করেছি। ওই মামলায় মা ও মেয়ে হাজিরা না দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

স্থানীয় দাউদখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক রাহাত চাচা কর্তৃক ভাতিজি ও তার বিধাবা মাকে বসতঘর হতে উচ্ছেদ ও সম্পত্তি জবর দখলে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় নির্যাতিত লিমা ও তার বিধাবা মাকে বসতঘরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। পরে চাচা নজরুল ইসলাম দ্বিতীয় দফায় নির্যাতন চালিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়ন করেছে। এমনকি চাচা তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রাণি করে আসছে।

এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে মা ও মেয়েকে তাদের বসতঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের আবার উচ্ছেদ ও হয়রাণির বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...