মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি
মঠবাড়িয়ার সাফা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ বলকে অফিস নারী সহকারী কর্তৃত জুতাপেটা করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলাবার রাতে লাঞ্ছনার শিকার ওই কলেজ অধ্যক্ষ বাদি হয়ে অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমাজ ও সামাজকি যোগাযোগে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতরা মঙ্গলবার রাতে জরুরী সভা করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত ওই নারী অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন ধানিসাফা এলাকার আলম বেপারীর স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই কলেজের অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় অধিকাংশ সময় তিনি কলেজে অনুপস্থিত থাকনে। কলেজের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করায় অধ্যক্ষের সাথে তার বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন সোমবার (১৬ আগস্ট) তাকে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়া শিক্ষার্থীদের নাম রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করার জন্য বলা হয়। পরে সে আদেশ ফরিদা কর্ণপাত না করায় অধ্যক্ষ নিজেই রেজিস্টার খাতা নিয়ে অফিস সহকারীর টেবিলে যান। পুনরায় তাকে বলা হলে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী ও স্টাফদের উপস্থিতিতে ফরিদা ইয়াসমিন হঠাৎ ক্ষুব্ধ হয়ে পায়ের জুতা খুলে অধ্যক্ষকে পেটাতে শুরু করেন। পরবর্তীতে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে ফরিদার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে অফিস কক্ষের বাইরে নিয়ে যায়। এদিকে আজ বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষ বিনয় কৃষ্ণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফরিদা ইয়াসমিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে আজ দুপুরে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইদ্রিস আলী আজিজি জানান, ঘটনাটি মৌখিক ভাবে শুনেছি, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বশির আহমেদ জানান, ইতিমধ্যে অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। নারী অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।