পাথরঘাটা(বরগুনা)প্রতিনিধি <>
বরগুনার পাথরঘাটা থানায় মামাত ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা দায়ের হয়েছে। ভূক্নাতভোগি মেয়েটির মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান হয়েছে। পাথরঘাটা থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিংড়াবুনিয়া গ্রামের মো.জালাল ও রেখা দম্পতি ঢাকায় দিন মজুরের কাজ করত। ১৭ বছরের মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে ৯/১০ মাস আগে আপন ভাই আবুল কালাম এর বাড়িতে রেখে যায় । কিন্তু আবুল কালামের বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার পূত্র সোলায়মানের সাথে কিশোরীর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ইত্যবসরে কিশোরীকে কালমেঘা ইউনিয়নের এক যুবকের সাথে বিয়ে দিলে বাসরঘরে ঘটনাটি জানা জানি হয়। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। শুক্রবার বিকালে কিশোরীর মা রেখা বেগম পাথরঘাটা থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে তার আপন ভাই আবুল কালাম আজাদকে আসামী করে পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করে। ডাকতারি পরীক্ষায় কিশোরী ৩২ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা হয়। শুক্রবার আবুল কালামকে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হলে তাকে জেল হাজতে পাঠান হয়। অভিযুক্ত মামাত ভাই সোলায়মান নিরুদিষ্ট থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
জানাগেছে তথ্য গোপন করে কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে গত ১৫ জুলাই কুপধন গ্রামের এক যুবকের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু টেলিফোনে এমন ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানান।#