ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় নবম শ্রেণী পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে হোসেন সরদার নামে এক বখাটে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে। অভিযুক্ত লম্পটকে স্থানীয়রা আটকের পর তাঁকে বাঁচাতে তার সহযোগি দায়সারাভাবে জুতাপেটা করে ছেড়ে দেওয়ায় পুলিশ অভিযুক্ত সহযোগি আব্দুল হালিমকে আজ শনিবার গ্রেফতার করেছে।
গত মঙ্গলবার( ২৩ এপ্রিল) উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের ওই স্কুলা ছাত্রী প্রতিবেশী বখাটে হোসেন সরদার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে বখাটেকে স্থানীয়রা আটকের পর দায়সারা জুতাপেটা করে ছেঁড়ে দেয় তার অপর সহযোগি আব্দুল হালিম। নির্যাতিত ওই স্কুল ছাত্রী অভিযুক্ত লম্পট ও তার সহযোগির বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে সহযোগি বখাটেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে ঘটনার মূল হোতা পলাতক।
নির্যাতিত মেয়েটি উপজেলার নূরজাহানা হাবিব বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির বাবা-মা চার ভাইবোনকে গ্রামের বাড়িতে রেখে ঢাকায় যায়। গত মঙ্গলবার প্রতিদিনের ন্যায় মেয়েটির অপর ৩ ভাইবোন স্কুলে চলে যায়। বাড়িতে ওই স্কুল ছাত্রী একা ছিল। এ সুযোগে দুপুরে প্রতিবেশী রফিক সরদারের বখাটে ছেলে হোসেন সরদার কৌশলে ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও বখাটে হোসেন সরদারকে আটক করে। এরপর বখাটের সহযোগি তাকে বা^ঁচাতে লম্পট হোসেন সরদারকে দায়সারা জুতোপেটা করে ছেড়ে দেয়। মেয়েটির মা বাড়িতে এসে গত মঙ্গলবার বখাটে ও তার অপর সহযোগির বিরুদ্ধে ভা-ারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাবুদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় বখাটের এক সহযোগিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বখাটে ঘটনার পর পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা গ্রামে ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া এক মাদ্রসা ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়।