মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভায় বিধি বহির্ভূতভাবে নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) নিয়োগে অভিযোগ উঠেছে। ওই পদে আবেদন প্রার্থী মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল হালিম কাজী নিয়োগে অনিময়মের অভিযোগ তুলে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গছে, মঠবাড়িয়া পৌরসভার দ্ইু নম্বর ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের নিয়োগকৃত কাজী মাওলানা কাজী আবদুল হালিম আকস্মিক মুত্যু বরণ করলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে নিকাহ রেজিষ্ট্রারের পদ শূণ্য হয়। পরে শূণ্য পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই শূণ্য পদে মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষক আবদুল হালিমসহ ৬ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এরপর রহস্যজনক কারণে প্রায় দুই বছর ধরে শূণ্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়ে।
হঠাৎ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই শূণ্য পদে নিয়োগে সাক্ষাতকারের জন্য গত ১২ এপ্রিল প্রার্থীদের নামে চিঠি ইস্যু। এতে ১৯ এপ্রিল পরীক্ষার্থীদের সাক্ষাতকারে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়।
প্রার্থী আবদুল হালিমের অভিযোগ, পাঁচজন প্রার্থীর চিঠি হাতে হাতে বিলি করলেও কেবলমাত্র তার চিঠি ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়।
তিনি লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, নিয়োগ কর্তৃপক্ষ পরষ্পর যোগসাজশে তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ করতে যাচ্ছেন। বিষয়টি ফাঁস হলে ওই নিয়োগ পরীক্ষায় ছয় জন প্রার্থীর চার জনই সাক্ষাতকার বোর্ডে অনুপস্থিত থাকে। প্রার্থী উপস্থিততি কোটা পূরণ না হওয়া সত্বেও নিয়োগ পরীক্ষা বিধি উপক্ষা করে প্রার্থী মো. ফরিদুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়ার জন্য সাক্ষাতকার বোর্ডে মো. মাসউদুর রহমান নামে একজন ডামি প্রার্থী উপস্থিত করা হয়। ওই ডামি প্রার্থী পৌরসভার বাসিন্দা না হওয়া সত্বেও বিধি বহির্ভূত ভাবে তাকে নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি,এম, সরফরাজ কাজী নিয়োগে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে । অভিযোগের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হবে।