মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জায়মা আক্তার জিনিয়া(১৩) নামে অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে বখাটেরা অপহরণ করেছে। পরিবারের অভিযোগ পাশর্^বর্তী বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার শরখণখোলা গ্রামের মো. মোশরফ হোসেন মোল্লার বখাটে ছেলে মাহবুব মোল্লা(২৫) ও তার দলবল পথ থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এঘটনার পরদিন মঙ্গলবার দিনগত রাতে অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া গ্রামের শামসুল হক হাওলাদার বাদি হয়ে অভিযুক্ত বখাটে মাহবুব মোল্লাকে প্রধান আসামী করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রী মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার শরখণখোলা গ্রামের মো. মোশরফ হোসেন মোল্লার বখাটে ছেলে মাহবুব মোল্লা(২৫) দীর্ঘদিন ধরে মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া গ্রামের শামসুল হক হাওলাদারের মেয়ে স্থানীয় মাধ্যকি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জায়মা আক্তার জিনিয়াকে উত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি ওই বখাটে মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ওই স্কুল ছাত্রী বিষয়টি তার অভিভাবকদের কাছে জানালে । স্কুল ছাত্রীর পরিবার বখাটে মাহবুবকে শাসিয়ে দিলে মাহবুব ক্ষিপ্ত হয়। পরে ওই বখাটে স্কুল ছাত্রীকে নানাভাবে উৎপীড়ন করতে থাকে তুলে নেওয়ার হুমকী দেয়। এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবার পাশ^র্তী শরণখোলা থানায় গতবছর ১ নভেম্বর বখাটে মাহবুব এর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রি করে। এর পর থেকেই বখাটে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
গত সোমবার(২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্কুল ছাত্রী বাড়ির কাছের বড়মাছুয়া বাজারে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। পথে সড়কে ওত পেতে থাকা বখাটে মাহবুব ও তার কয়েক সঙ্গী মিলে জোরপূর্বক মেয়েটি অপহরণ করে নিয়ে যায়। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ওই স্কুল ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার মো. গোলাম সরোয়ার ইনচার্জ স্কুল ছাত্রী অপহৃত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ভূক্তভোগি মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া একটি মামলা দায়ের করেছে। এতে অজ্ঞাত আরও ২/৩জনকে আসামী করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।