ব্রেকিং নিউজ
Home - অপরাধ - মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রী লীমা ও লাবনীর বাল্যবিয়ে পন্ড ▪️পরিবারের অঙ্গীকারনামা

মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রী লীমা ও লাবনীর বাল্যবিয়ে পন্ড ▪️পরিবারের অঙ্গীকারনামা

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ▶️

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় লীমা আক্তার ও লাবনী আক্তার নামে দুই স্কুল ছাত্রীর বিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পন্ড হয়ে গেছে। রবিবার রাতে ওই দুই স্কুল ছাত্রীর পরিবার তাদের বিয়ের আয়োজন করেছিল।
সকুল ছাত্রী লীমা এবার জেএসসি পরীক্ষার্থী ও লাবনী পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজের হস্তক্ষেপে ওই দুই স্কুল ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করে উভয় পরিবার বাল্য বিয়ে না দিতে লিখিত অঙ্গীকারনামা দেয়।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার টিকিকাটা ইউিনিয়নের দধিভাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসি জামাল হোসেনের কন্যা জেএসসি পরীক্ষার্থী লীমা আক্তারের সাথে পাশর্^বর্তী বরগুনার বামনা উপজেলার মাহবুবুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে ঠিক হয়। রবিবার রাতে কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোপনে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। এসময় মঠবাড়িয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরপক্ষ ও বিয়ের কাজি পালিয়ে যায়। এতে জেএসসি পরীক্ষার্থী লীমা আক্তারের বাল্যবিয়ে পন্ড হয়ে যায়। পরে লীমার মা রানু বেগম বাল্যবিয়ে না দিতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করে।

অপর দিকে মঠবাড়িয়া পৌরসভার সবুজনগর মহল্লার বাসিন্দা লাল মিয়ার কন্যা পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী লাবনী আক্তারের সাথে উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের মো. রাজু মিয়ার সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। বর ও কনের পরিবারের সম্মতিতে রবিবার রাতে লাবনীকে দেখতে বর পক্ষ কনের বাড়িতে আসে । স্থানীয়ভাবে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে অবহিত করেন । তিনি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তারকে পুলিশ নিয়ে তাৎক্ষণিক কনের বাড়িতে পাঠান। তারা মেয়েটির পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে অস্বীকার করে। পরে স্কুল ছাত্রীর অভিভাবকরা বাল্যবিয়ের আয়োজনের বিষয়টি প্রশাসনের কাছে স্বীকার করে। বাল্যবিয়ের কুফল ও অপরাধের বিষয়টি বুঝতে পেরে লাবনীকে বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হন তার পরিবার । এরপর মেয়েটির মা সেলিনা বেগম প্রশাসনের কাছে লিখিত অঙ্গীকারনামা দিলে লাবনী বাল্যবিয়ের হাত হতে নিস্তার পায়।
দুই স্কুল ছাত্রীর পরিবার লিখিত অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করেন, মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ নসা হওয়া পর্যন্ত তারা বাল্যবিয়ে দেবেন না। যদি বাল্য বিয়ে দেন তাহলে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজ বলেন, দুই স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ওই দুই পরিবার যাতে আর বাল্যবিয়ের আয়োজন না করতে পারে তার জন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...