ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি >>
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী(১৪)কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সুমন খান(২০)নামে এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে। এ ধর্ষণের ঘটনার স্থানীয় সালিশে বিচার না পেয়ে ঘপনার ১৩দিন পর আজ রবিবার নির্যাতিত স্কুল ছাত্রী বিচার চেয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরারে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ভূক্তভোগি স্কুল ছাত্রী ভান্ডারিয়া পৌর শহরের একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ।
অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র সুমন খান ভান্ডারিয়া পৌর শহরের কানুয়া মহল্লার মো. নূর মোহাম্মদ খানের ছেলে। সে উপজেলার রাধানগর আমানউল্লাহ ডিগ্রী কলেজে স্নাতক শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই স্কুল ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ভান্ডারিয়া পৌরশহরের কানুয়া মহল্লার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদের কলেজ পড়–য়া ছাত্র সুমন খান গত ২৩ জুলাই রাতে প্রতিবেশী ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি প্রথমে লোকলজ্জার ভয়ে নির্যাতিত স্কুল ছাত্রী প্রকাশ করতে পারেনি। একপর্যায় ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ভূক্তভোগি স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে স্থানীয়ভাবে শালিসের আশ্বস্ত করে সময় ক্ষেপন করে অভিযুক্ত সুমনের পরিবার। কিন্তু ভূক্তভোগি স্কুল ছাত্রীর পরিবার কোন বিচার না পেয়ে ঘটনার ১৩দিন পরে ওই স্কুল ছাত্রী স্বশরীরে ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন আক্তার সুমীর দপ্তরে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে বিচার দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুল ছাত্রীর অভিযোগ পত্র থানায় পাঠিয়ে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন।
এ ব্যাপারে ভান্ডারিয়া পৌরসভা সহায়তা কমিটির সদস্য মো. মানিক বলেন, ধর্ষণের ঘটনার কোন সামাজিক শালিস করা অন্যায় ও আইান বহির্ভূত । এ কারনে শালিস করা সম্ভব নয়। তাই আইনগত সহায়তার জন্য ওই স্কুল ছাত্রী ইউএনরও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার ভূক্তভোগি স্কুল ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ওই স্কুল ছাত্রীর মামলাটি ভান্ডারিয়া থানায় নথিভূক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।