ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় মায়ের সঙ্গে শিশু পার্কে বেড়াতে গিয়ে বেহাল বেইলী সেতু পার হওয়ার সময় মায়ের হাত ফসকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ শিশু সিনথিয়া (৪) ৩৬ ঘন্টা মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত সিন্থিয়া আক্তার (০৪) জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের কাউসার খান ও হাফসা দম্পতির একমাত্র কন্যা।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্যাপারী বাড়ির পাশে খালের চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার পারভেজ আহম্মেদ পলাশ উদ্ধারের বিয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভাণ্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার পারভেজ আহম্মেদ পলাশ জানান, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে সকালে আমরা ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্যাপারী বাড়ির পাশে খালের চর থেকে সিন্থিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ভাণ্ডারিয়া থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে শিশুটি সেতু থেকে পোনা নদীতে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই উদ্ধার কাজ শুরু করেছিলাম।
ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান জানান, ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা শিশুটির পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকেলে শিশু সিনথিয়া মায়ের সাথে ভাণ্ডারিয়া শহরে কেনাকাটা করতে যায়। শেষে শিশুটির মা শহর সংলগ্ন শিশু পার্কে বেড়াতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্ক থেকে বের হয়ে পোনা নদীর ওপর বেহাল বেইলী সেতু পার হয়ে বাড়ি ফিরছিলো মা ও শিশুটি। এসময় সেতুর গার্ডারের ভাঙ্গা অংশে পা পড়ে শিশু সিনথিয়া মায়ের হাত থেকে ফসকে খারস্রোতা পোনা নদীতে পড়ে যায়। এরপর মায়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে থানা পুলিশকে দুর্ঘটনার বিষয়টি অবহিত করে। তাৎক্ষণিক শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নদীতে তল্লাশী শুরু করে। সেই সাথে কোস্টগার্ডের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। ৩৬ ঘন্টা উদ্ধার অভিযানের পর শুক্রবার সকালে নদী চর হতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।