ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূল - ঘূর্ণীঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি মুলক সভা

ঘূর্ণীঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি মুলক সভা


পিরোজপুর প্রতিনিধি :

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণীঝড় ‘সিত্রাং’ এর বিষয়ে পিরোজপুরে জেলা প্রশাসনের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি মুলকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলণ কেন্দ্রে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলার ৭ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সহ জেলার বিভিন্ন সরকারী -বেসরকারী দফতরের কর্মকর্তা, রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেরা প্রশাসক আগাম প্রস্তুতির ব্যাপারে সকল উপজেলা নির্বাহীদের সহ সকলকে দিক নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক জানান, জেলার ৭ উপজেলায় জনসাধারনের আশ্যয়ের জন্য ২৬০টি সাইক্লোন শেল্টার যেখানে ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে যেখানে আরও ১ লক্ষ ২৮ হাজার ২৫০জন মানুষ বিপদের সময় আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ মেঃটঃ চাল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক সহ রেড ক্রিসেন্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক উপজেলা সমুহে প্রস্তÍত রাখা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, তাদের মোট ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং স্যালাইন সহ বিভিন্ন ঔষধের পর্যাপ্ত যোগান তাদের রয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সহযোগিতার নিশ্চয়তা সহ সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
এদিকে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, বড়মাছুয়া ইন্দুরকানী উপজেলারটগরা ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ২৩ কিঃমিঃ বেরিবাধ অরক্ষিত আছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী. মেহেদী হাসান বলেন, মঠবাড়িযার খেতাছিড়া, কঁচুবাড়িয়া, বড়মাছুয়া ভাংগন এরাকায় কিছু গাইড ওয়াল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৩০ কিঃমিঃ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাংগন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি জানান, তাদের হাতে বেশ কিছু জিও ব্যাগ প্রস্তুত আছে যা জরুরী কাজের সময় ব্যবহআর করা যাবে। এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক বলেন,বর্তমানে কৃষকের জমিতে আমন ধানের ফলন আছে, জলোচ্ছাস ও ভাঙ্গা বাধের কারনে যদি জমিতে পানি ঢুকে পরে,তবে শত শত হেক্টর জমির ফসল নস্ট হয়ে যাবে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...