ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি 🔴🟢
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় গৃহকর্তা কর্তৃক এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার গৃহকর্তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় কিশোরীর ফুফু বাদী হয়ে অভিযুক্ত গৃহকর্তা মামুন মুন্সিকে (৩৮) প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। উপজেলার ইকড়ি গ্রামের মামুন মুন্সির বাড়িতে ওই কিশোরী কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস আগে ওই কিশোরী মামুনের বাড়িতে কাজে যায়। এরপর মামুন তাকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেন। এর ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি বুঝতে পেরে মামুন ও তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার খুলনার একটি হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বজনদের না জানিয়ে চিকিৎসকদের কাছে তথ্য গোপন করে ১৬ ডিসেম্বর ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান।
এ ঘটনা পরিবার জানতে পেরে শুক্রবার রাতে মেয়েটির ফুফু বাদী হয়ে গৃহকর্তা মামুন মুন্সি (৩৮), তাঁর স্ত্রী রোজিনা আক্তারসহ তিনজনকে আসামি করে ভাণ্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. বজলুর রহমান জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে আজ শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ভাণ্ডারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মেহেদি হাসান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।