ব্রেকিং নিউজ
Home - উপকূল - বড়মাছুয়া-শরণখোলা ফেরিঘাটে টোল আদায় বন্ধে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট

বড়মাছুয়া-শরণখোলা ফেরিঘাটে টোল আদায় বন্ধে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট

মাহিদুল ইসলাম, শরণখোলা প্রতিনিধি 🔴🟢
বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ফেরিঘাট দিয়ে চলাচলকারী সাধরাণ যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায়ে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে ইজারাদারকে নির্দিষ্টহারে টোল আদায় সংক্রান্ত ১৬ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের দেওয়া সিদ্ধান্তের কার্যকারিতাও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গত সোমবার (২৯নভেম্বর) এই আদেশ দেন বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে ঘঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এছাড়া, রুলে টোল আদায় সংক্রান্ত খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের দেওয়া ১৬ নভেম্বরের সিদ্ধান্ত (স্মারক) কেনো আইনগ কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষনা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে স্থানীয় সরকার সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনারসহ ১০ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রায়েন্দা-বড়মাছুয়া আন্তবিভাগীয় খেয়া ঘাটসংলগ্ন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের স্থাপিত ফেরিঘাট দিয়ে চরাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে ইজারাদার নির্দিষ্টহারে টোল আদায় করতে পারবেন মর্মে ১৬ নভেম্বর সিদ্ধান্ত দেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার। এর পর থেকে খেয়াঘাটের ইজারাদার ফেরিঘাটে টোলঘর তুলে ফেরি পারাপারের সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায় শুরু করেন। এতে রায়েন্দা ও বড়মাছুয়া দুই পারের মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পারের বিক্ষুদ্ধ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এসংক্রান্তে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার হলে জনবিরোধী এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শরণখোলার সন্তান ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস ২৫ নভেম্বর একটি রিট করেন। রিটের পক্ষে চঞ্চল কুমার বিশ্বাস নিজেই শুনানি করেন এবং আইনজীবী আনিচুর রহমান তার সঙ্গে ছিলেন। রাস্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্ণি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এব্যাপারে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বুধবার (১ডিসেম্বর) বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়ার মধ্যবর্তী বলেশ্বর নদ নিরাপদে পারাপার ও জনদুর্ভোগ কমাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ফেরি স্থাপন করে। এই ফেরিতে চলাচলরত যানবাহন দিয়ে নির্ধারিত টোল আদায় করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু, এরই মধ্যে গত ১৬ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আন্তবিভাগীয় খেয়াঘাটের ইজারাদারকে ওই ফেরিঘাট থেকে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের অনুমোতি দেন। এতে জনদুর্ভোগ লাঘবের পরিবর্তে আরো বেশি দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। পরে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়।
এদিকে, ফেরিঘাটে অবৈধবাবে টোল আদায়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদাশে বলেশ্বর নদের দুই পারের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। জনগণের রিটকারী সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমারকে সাধুবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশংসার ঝড় তুলেছেন শরণখোলা ও মঠবাড়িয়াবাসী। ##

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...