মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি >
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌতুক লোভী স্বামীর দাবিকৃত ৫০হাজার টাকা না পেয়ে স্বামী, শাশুড়ী ও ননদ মিলে র্নিমম নির্যাতন শেষে মুখে বিষ ঢেলে লিপি আক্তার(৩০)নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । শুক্রবার বিকালে উপজেলার তুষখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ লিপি আক্তার ওই গ্রামের বাদশা জমাদ্দারের স্ত্রী ও স্থানীয় তুষখালী কলেজের নৈশ প্রহরী আনিসুর রহমানের মেয়ে। সে দুই সন্তানের জননী। এ ঘটনার পর নিহত গৃহবধূর স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে।
নিহত গৃহবধূ লিপির বাবা আনিসুর রহমানের অভিযোগ, গত ১২/১৩বছর আগে প্রতিবেশী হাবিব জমাদ্দারের পুত্র বাদশা জমাদ্দারের সাথে তারমেয়ে লিপির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বাদশা স্ত্রী লিপির কাছে বিভিন্ন সময় মোট অংকের যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিল। তার বাবা কয়েক দফায় এক লক্ষাধি টাকা দেন। গত কয়েক দিন আগে আবারও ৫০হাজার টাকা দাবি করে মেয়ের জামাই পূনঃরায় নির্যাতন করা শুরু করে। শুক্রবার সকালে যৌতুকের ওই দাবিকৃত টাকা নিয়ে স্বামী বাদশা, শাশুড়ী সেলিনা ও ননদ মঞ্জুয়ারার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় শারীরিক নির্যাতন করে জোরপূর্বক মুখে গৃহবধূর মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
পরে গুরুতর অবস্থায় লিপিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে দুুপুরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় গৃহবধূর মৃত্যু ঘটে । পরে এ হত্যার ঘটনা আত্মহত্যা বলে মিথ্যা প্রচারণা চালায় গৃহবধূর শ্বশুর বাড়িরর লোকজন।
এদিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে আজ শনিবার সন্ধ্যায় তুষখালী কলেজ সংলগ্ন নানা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে নিহত লিপিকে দাফন করা হয়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি মৌখিক শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে পরিবারের পক্ষ হতে এখনও হত্যার অভিযোগের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিতি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।