আমীন রুম্মান : >
এক বছর ধরে তারা তাদের সৎ, সাহসী এবং নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে স্বার্থহীন পরিশ্রম করেছেন। সত্যকে স্বীকার করতে অকুতোভয়ী ছিলেন। বিশ্বের যেখানে যা কিছু ঘটেছে চেষ্টা করেছেন মুহূর্তের মধ্যে আমাদের সামনে তুলে ধরে আমাদেরকে তথ্য সমৃদ্ধ করতে। দেশপ্রেমের তাড়নায় এবং সত্যকে ধারন করার লালসায় এক বছর আগে যারা দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নিয়েছিলেন তারা আমার খুব কাছের কিছু আপনজন। তাদের রক্তে বহে দেশপ্রেমের নেশা। তারা চিন্তায় দূরদর্শি, ব্যক্তিত্বে রুচিশীল, কাজে সাহসী, দেশপ্রেমে অকুতোভয়ী এবং সততায় অনিন্দ। আমি সাধুবাদ জানাই তাদের এই মহতী উদ্যোগকে। কিছুপ্রান তাদের যাদুকরী স্পর্শে অন্য প্রানকে আন্দোলিত করে তুলে। এ পত্রিকার কুশীলবগন এ রকম এক মহৎ প্রান। তারা তাদের যাদুকরী ছোয়ায় আমাদের তথা পুরো মঠবাডীয়া বাসীকে উন্নত করার দায়িত্ব স্বেচ্ছায় গ্রহন করেছেন। তারা আরো বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন এবং আত্মীক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। আমাদের উচিত দু’হাত উঁচু করে তাদের সফলতার জন্য প্রার্থনা করা। আত্মকেন্দ্রীকতার যুগে তারা যে ধরনের মনুষ্যত্বের আলো ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তা সত্যিই ঈর্ষানীয়। একটি মহৎ রাষ্ট্র বা সমাজ গঠনে সংবাদপত্রের ভূমিকা অপরিসীম। কোন সংবাদকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কোন পক্ষের হয়ে প্রচার করা যাবে না। সংবাদপত্র হলো রাজনৈতিক আলোক সম্পাতের প্রধান হাতিয়ার। এটি মানুষের জন্য একটি চলমান স্কুল। সংবাদপত্র খুব সহজেই যেকোন ঘটনায় বিশ্বাস উৎপাদন করিয়ে দিতে পারে জনসাধারণের মধ্যে। অসৎ হলে তুচ্ছ ঘটনাকেও জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত করা যায় আবার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকেও জনসাধারণের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা যায়। কখনো কখনো সংবাদপত্র হলো একটি ভানুমতির খেলা। এর মাধ্যমে চাইলেই তিলকে তাল প্রমান করা যায়। কোন অপ্রয়োজনীয় সাধারন ঘটনাকেও ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কয়েক দিনের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলা যায়। এগুলো হচ্ছে সংবাদপত্রের নেতীবাচক দিক। অসৎ সাংবাদিকতার অনিষ্ট করার ক্ষমতা অনেক বেশী। তাই আমাদের হ্রদয়ে সৎ সাংবাদিকতার অনুভূতি ধারন করতে হবে। ধন্যবাদ সকলকে।