ব্রেকিং নিউজ
Home - তৃণমূল সংলাপ - যে কারণে চরখালীতে সেতু চাই..

যে কারণে চরখালীতে সেতু চাই..

কচা নদীর দক্ষিণে বর্তমান মঠবাড়িয়া,ভান্ডারিয়া,কাঁঠালিয়া,বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা নিয়ে ১৮৫৯ সালে মঠবাড়িয়া থানা গঠিত হয়। প্রশাসনিক সুবিধার জন্যে ১৮৭২ সালে মঠবাড়িয়া থেকে ভান্ডারিয়া, ১৯১১ সালে বামনা এবং ১৯২১ সালে পাথরঘাটা ও কাঠালিয়া থানা গঠিত হয়। ১৯৬৯ সালে পাথরঘাটা ও বামনা থানাকে বরগুনা এবং ১৯৭০ সালে কাঠালিয়া থানাকে ঝালকাঠি মহকুমার সাথে যুক্ত করা হয়। ১৯৮১ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে তৎকালীন বিরোধী দলীয় উপনেতা জনাব মহিউদ্দিন আহমেদ মঠবাড়িয়া, বামনা ও পাথরঘাটা থানা সমন্বয়ে মঠবাড়িয়াকে মহকুমার ঘোষণা দাবী জানিয়ে মাননীয় মন্ত্রী পরিষদ সচিব বরাবরে চিঠি প্রেরণ করেন। ১৯৮৪ সালে সকল মহকুমা জেলায় পরিনত হলে মঠবাড়িয়াকে জেলা ঘোষণার দাবী করে জেলা বাস্তবায়ন কমিটি আন্দোলন শুরু করেন। অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ১২৯, পিরোজপুর-৩ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সদস্য ডাঃ মোঃ রুস্তম আলী ফরাজী ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি মঠবাড়িয়া, বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা সমন্বয়ে মঠবাড়িয়াকে জেলা ঘোষণার দাবীটি প্রস্তাব আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের মামনীয় সদস্য এ্যাডভোকেট নুর জাহান বেগম এবং এ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেছা বাপ্পী। সরকার পক্ষে মাননীয় বানিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে বলেন যে, মঠবাড়িয়াকে জেলা ঘোষণা করার পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই। তবে মঠবাড়িয়ার জনগণ যাতে জেলা সদর এবং রাজধানী ঢাকার সাথে কম সময়ে যাতায়াত করতে পারে সেজন্যে কচা নদীর উপরে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছেন। সরকারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে জনাব রুস্তম আলী ফরাজী জেলা ঘোষণার দাবীটি প্রত্যাহার করেন। সেতু নির্মাণ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য ২৮ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এখন দাবী উঠছে সেতুটি কচা নদীর চরখালী না বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত হবে? মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া,কাঠালিয়া, বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা (মৎস্য বন্দর) সহ বেতাগী, বরগুনা এবং পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের দাবী হচ্ছে কম সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকা এবং মংলা সমুদ্র বন্দর, বেনাপোল স্থল বন্দর সহ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য চরখালীতে সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই। এছাড়া, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ১২৮, পিরোজপুর-২ নির্বাচনী এলাকাটি কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও জিয়ানগর উপজেলা সমন্বয়ে গঠিত। জিয়ানগর উপজেলাটি কচা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। এ এলাকার জনসাধারণের স্বার্থে কচা নদীর চরখালী পয়েন্টে সেতু নির্মাণ আবশ্যক। আওয়ামী লীগ তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী (বর্তমানে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী) জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জু চরখালীতে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এমতাবস্থায়, বৃহত্তর মঠবাড়িয়া, সমগ্র বরগুনা জেলা এবং পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় ৩৫ লাখ জনসাধারণের সুবিধার্থে কচা নদী চরখালী পয়েন্টে সেতু নির্মাণের জন্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এবং যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সমীপে জোর দাবী জানাচ্ছি।

মঠবাড়িয়া উপজেলার নাগরিক কমিটির পক্ষে,
নূর হোসাইন মোল্লা
সদস্য-সচিব
মঠবাড়িয়া,পিরোজপুর।
০১৭৩০-৯৩৫৮৮৭.

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...