মো. খালিদ আবু ,পিরোজপুর >
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পিরোজপুর জেলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব বয়সের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। পিরোজপুর সদর উপজেলা সহ সব উপজেলায় মন্দিরে মন্দিরে চলছে দেবী প্রতিমা তৈরিসহ ব্যাপক প্রস্তুতি। তাই আসন্ন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন পার্শ্ববর্তী জেলা সমুহ থেকে আগত ও স্থানীয় প্রতিমাশিল্পীরা।
আগামী ০৭ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়ে ১১ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব । এবার পিরোজপুর জেলায় ৪৫৯টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীর কুমার দাস বাচ্চু ও সাধারন সম্পাদক বিমল চন্দ্র মন্ডল জানান, জেলায় এ বছর ৪শ’ ৪৫টি মন্ডপে দূর্গাপূজা এবং ১৪টি মন্ডপে জগধ্বাত্রী পূজা অনুষ্ঠিত হবে ।
এ বছর সবচেয়ে বেশি পূজামন্ডপ হবে জেলার নাজিরপুর উপজেলায়। এখানে মন্ডপের সংখ্যা ১১২টি। সবচেয়ে কম জিয়ানগর উপজেলায়। এখানে মন্ডপের সংখ্যা ২৪টি। এছাড়া পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৫৬টি, মঠবাড়িয়ায় ৬৭টি, ভান্ডারিয়ায় ৪৪টি, কাউখালীতে ৩৮টি ও স্বরুপকাঠী উপজেলায় ৯৪টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা সদর সহ উপজেলার শহর-গ্রামে প্রতিমা তৈরি ও পূজার ব্যাপক প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। প্রতিমা বানানো প্রায় শেষ, এখন চলছে দুর্গা প্রতিমায় রং-তুলির আঁচড়।
জেলার বেশ কয়েকটি মন্ডপের প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিমা তৈরিতে ব্যবসার কথা না ভেবে সবাই মনের মাধুরী মিশিয়েই প্রতিমাগুলো প্রস্তুত করার দিকে নজর দিচ্ছেন বেশি। কার চেয়ে কার প্রতিমা বেশি সুন্দর হবে এটাই এখন তাদের দেখার বিষয়। যাতে করে আগামীতে আরও বেশী অর্ডার পাওয়া যায়। আগামী ০৫ অক্টোবর প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হবে। আর মন্দিরের পর্দা উঠবে ০৬ অক্টোবর ষষ্ঠি তিথিতে বোধন পূজার মাধ্যমে । আর সে কারণে মন্দিরগুলোয় চলছে ধোয়া-মোছা ও সাজ-সজ্জার কাজ।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সমীর কুমার দাস জানান, জেলার কোথাও কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, তারপরও পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমাদের নিজেদের কর্মীরা সার্বক্ষনিক পূজা মন্ডপগুলো দেখভাল করবে।
এ দিকে পিরোজপুর জেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপানে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। আইন শৃঙ্খলা সহ নিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন এলাকায় তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখবে প্রশাসন। র্যাব, পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও সার্বক্ষনিক সাদা পোশাকে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যরা টহলে থাকবে।