দেবদাস মজুমদার 🔶
আসন্ন শারদীয় দুর্গা উৎসব উপলক্ষে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কবুতরখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শৈলেশ্বর হালদারের বাড়ি পূজামন্ডপে ৪০টি প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে। ৪০টি প্রতিমা দিয়ে এ মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ মন্ডপে নির্মাণকৃত প্রতিমায় এখন চলছে রঙের প্রলেপ। প্রতিদিন শত শত মানুষ এ বিশালাকৃতির পূজা মন্ডপের প্রতিমা দর্শনে আসছেন। এখানে পাঁচদিন ব্যাপী শারদীয় দুর্গা উৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।
মঠবাড়িয়ার কবুতরখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শৈলেশ্বর হালদার জানান, তার ছেলে ডা. সুদীপ কুমার হালদার ও পুত্রবধূ ডা. স্নিগ্ধা চক্রবর্তীর উৎসাহে এ ৪০ প্রতিমার পূজার আয়োজন করা হয়েছে। গত দুই মাস ধরে ছয়জন প্রতিমা কারিগর মিলে দুর্গাসহ ৪০ দেবদেবীর প্রতিমা নির্মাণ করছে। এজন্য প্রতিমা কারিগরদের দেড় লাখ টাকা মজুরীর চুক্তিতে এসব প্রতিমা নির্মাণ হচ্ছে। এখন রাত দিন কারগিররা মাটির প্রতিমার গায়ে বর্ণিল রঙের প্রলেপ দিতে মহা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার মঠবাড়িয়ার ১১ ইউনিয়নের ৭৯টি পূজা মন্ডপের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় পূজা মন্ডপ। তাই প্রতিদিন দর্শনার্থীরা এ পূজা মন্ডপে ৪০ প্রতিমা দর্শণে আসছেন।
একটি পুকুর আর বসতবাড়ির পরিপার্শ্ব ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল আকৃতির মন্ডপ। পুকুরের ভেতর ভাসমান একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়ছে। সেখানে বাঁশের একটি সাঁকো তৈরী করা হয়েছে। সেই সাথে থাকছে পুরো মন্ডপ জুড়ে বর্ণিল আলোর লাইটিং।
খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষ প্রতিমা কারিগর শংকর চন্দ্র বড়াল (৫৮) জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে বংশানুক্রমে প্রতিমা নির্মাণ করে আসছেন। এবার তিনি এক মন্ডপে পাঁচজন সহযোগি কারগির মিলে এক মন্ডপে ৪০টি প্রতিমা নির্মাণ করেছেন। এ মন্ডপে শ্রীশ্রী দুর্গা, নৌকায় মা দুর্গার আগমন,রাম সীতা, কালিয়া দমন, শ্রী কৃষ্ণের পুতনা বধ, মহাদেব ৩৫ দেব দেবীর প্রতিমা নির্মাণ করেছেন এ মন্ডপে। এ প্রতিমা নির্মাণে টানা দুই মাস ব্যয় হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এক মন্ডপে এক সাথে ৪০টি প্রতিমা গড়তে পেরে আমি খুব আনন্দিত।