ব্রেকিং নিউজ
Home - অন্যান্য - মঠবাডিয়ায় খাওয়ার পানির সংকট: বাড়ছে রোগবালাই

মঠবাডিয়ায় খাওয়ার পানির সংকট: বাড়ছে রোগবালাই

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাডিয়া উপজেলায় বেশির ভাগ নলকুপ ও বালুর ফিল্টার (পিএসএফ) অকেজো হয়ে পড়ায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার অনেক মানুষ এখন অনিরাপদ উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। ফলে বাড়ছে রোগবালাই। যাঁদের সাধ্য আছে, তাঁরা পানি কিনে খাচ্ছেন।

মঠবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সূত্রে জানাযায়, পৌরসভা ও উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের চার লাখ মানুষের পানির জন্য ১১০০টি গভীর নলকূপ, ১৬৮১টি অগভীর নলকূপ, ৩৫০টি বালুর ফিল্টার আছে। কিন্তু এর মধ্যে ৯৬০টি অগভীর নলকূপ ও ৯৬টি বালুর ফিল্টার দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। উপজেলার হলতা গুলিসাখালী, টিকিকাটা ও দাউদখালী ইউনিয়ন ছাড়া বাকি আটটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় লবণাক্ততার কারণে গভীর নলকূপ বসানো যায় না।

মঠবাডিয়া পৌরসভা ও উপজেলার সাপলেজা, বড় মাছুয়া, মিরুখালী, বেতমোড় রাজপাড়াসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, গ্রামগুলোতে প্রয়োাজনীয় নলকূপ নেই। যেগুলো আছে, তার বেশির ভাগই অকেজো। গ্রামাঞ্চলের মানুষ পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করেন। কিন্তু বেশির ভাগ পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় এবং সচল অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ থাকায় সুপেয় পানির সংকট বাড়ছে।

বড় মাছুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফ আলী বলেন, আমাদের গ্রামে কোনো বালুর ফিল্টার নেই। নলকূপগুলো অকেজো। তাই সবাই নদী বা খালের পানি খাচ্ছে।

সবুজ নগর গ্রামের বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, তিনি প্রতি কলসি পানি ১০ টাকা দিয়ে কিনছেন। প্রতি কলসিতে ৮ থেকে ১০ লিটার পানি ধরে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বেসরকারি সংস্থা প্রশিকার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পানি বিক্রেতারা প্রতি লিটার পানি ৫০ পয়সায় কিনে ভ্যানে করে বাসা-বাড়িতে তা এক টাকায় বিক্রি করেন।

মঠবাড়িয়া কেএম লতীফ ইনষ্টিটিউশনের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র হৃদয় চৌধুরী জানান, আমাদের স্কুলের সাপলাইটা (বালুর ফিল্টার) প্রায়ই খারাপ হয়। তাই স্কুলে এসে নিরাপদ খাবার পানির অভাবে প্রায়ই পেটের পীরায় ভুগতে হয়। এতে মাঝে মাঝে স্কুলে আসতে পারিনা।

মঠবাড়িয়া সৌদিপ্রবাসী হাসপাতালের চিকিৎসক মাসুমা আক্তার চৌধুরী বলেন, পানির মাধ্যমে ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিস, হেপাটাইটিস বি ও সি রোগ ছড়ায়। গভীর নলকূপ ছাড়া নদী, খাল, পুকুর ও বালুর ফিল্টারে পানি জীবাণুমুক্ত নয়।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মঠবাড়িয়া কার্যালযয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল খালেক জানান, অগভীর নলকূপগুলোর পানির লবণ দূর করে সুপেয় পানি সরবরাহ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর অকেজো নলকূপ ও বালুর ফিল্টারগুলো মেরামত করা হবে।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...