ব্রেকিং নিউজ
Home - খোলা কলাম - জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াই

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াই

আদর্শের হাতেখড়িটা সেই পরিবার হতেই শুরু হয় একটি শিশুর,তার রক্তের বীজে মিশে বেড়ে ওঠে সেই অনুর্বর মস্তিষ্কটি ধীরে ধীরে।তাকে যেরুপ শিক্ষা প্রদান করা হয় সে সেইরুপ ভাবে কখনো বেড়ে ওঠে,কোন এসব জগৎ থেকে বেরিয়ে খোঁজ করে আলাদা কোন কিছুর।এখানে কেউ সফল হয়, কেউ বিপথগামী হয়ে যায়।কাউকে বিপথগামী করতে বাধ্য করা হয়,উস্কানো হয়,বিকৃত করা হয় মস্তিষ্ককে,অপব্যাখ্যা বোঝানো হয়,তাঁর রক্তকে উত্তপ্ত করা হয়,এখানে শৈশব হতে কৈশর,যৌবনে পা দেয়া সেই বালক এক অবচেতন, এক ভিত্তিহীন,সমাজের জন্য হানিকর,সমাজ পরিপন্থী আদর্শকে লালন করে উদ্দেশ্যহীন পথে যাত্রা করে।তাঁকে যেভাবে শিক্ষার বীজ উপ্ত করে দেয়া হয়েছে,যেরুপ স্বপ্ন দেখানো হয়েছে,সে সেই স্বপ্নের ঘোরে ডুবে থাকে,এগোতে থাকে সেই পথে যেটা সমাজ তার থেকে প্রত্যাশা করে না।সে হয়ত কয়েকজনকে মেরে নিজেও মরল।কিন্তু, এই সেই নিষ্পাপ বালকের এই অবস্থা পর্যন্ত আনল কারা? কারা সেই গোষ্ঠী? এরা কি দায়ী নয়?এরাই ৯৯% দায়ী একটি ছেলে বা মেয়েকে বিপথগামী করতে। আসলে আমাদের কি ব্যর্থতা নেই?না থাকলে যে আদর্শ পরিবার হতে পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়, সমাজ হতে গ্রহণ করার কথা,আমরা কেন পারলাম অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বীজ উপ্ত করতে?শুধু পরিবার বা বিদ্যালয় হতে নয়,সমাজ হতে এগিয়ে আসতে হবে।
সার্বিক ঘটনা দেখে,পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় এসেও বিপথগামী হয়েছে ছাত্রটি।তাহলে পরিবার এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিপূর্ণ আদর্শ শেখাতে যে ব্যর্থ তা স্পষ্ট।
আমরা এখনো পারিনি ধর্মীয় গোঁড়ামি হতে বেরিয়ে এসে একটি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।
সামাজিক সচেতনতাবোধ সৃষ্টি করতে আমরা এখনো ব্যর্থ।এ ব্যর্থতার ফলও আমরা ইতোমধ্য বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় পেলাম,পারব না আমরা সব গোঁড়ামি কে পরিহার করে,সব পরিচয়ের চেয়ে আমরা

বাঙ্গালি,এক ভাষা,এক ইতিহাস,এক ঐতিহ্য,এক সংস্কৃতি,এক লাল সবুজের পতাকার পরিচয়কে বড় করে তুলতে? পারব না অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে? এ লড়াই আমাদের আরেক অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার লড়াই, সেই মহান আদর্শকে বাঁচানোর লড়াই,বাঙ্গালী তীয়তাবাদ,সমাজতন্ত্র, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা কে আরও গ্রহনযোগ্য, আরও একধাপ এগিয়ে নেবার লড়াই,সে লড়াই হবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াই।

আজ দেশের আরেক সংকটময় অবস্থায় আমরা প্রশ্নবিদ্ধ।ঐ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি,অপশক্তির বিরুদ্ধে সমাজ হতেই প্রতিরোধ গড়ে উঠবে,আমাদের সন্তান,আমাদের ভাইদের সঠিক পথে পরিচালনার দায়ভার আমরা এড়াতে পারি না,বহু দায়িত্বহীনতার পরিচয় আমরা দিয়েছি,এবার ক্ষান্ত হন, অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে অবতীর্ণ হোন।

লেখক > ইমন নীল, শিক্ষার্থী, মঠবাড়িয়া সরকারী কলেজ।

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...