ব্রেকিং নিউজ
Home - খোলা কলাম - বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমি

বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভূমি

নূর হোসাইন মোল্লা >

( শেষ পর্ব )

গুলিবিদ্ধ বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠপুত্র শেখ কামালঃ
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগের দিন ঢাকা শহরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, সিরাজ সিকদার ও তাঁর দলের লোকেরা গভীর রাতে ঢাকা শহরে এসে সরকার বিরোধী পোষ্টার লাগান ও লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন স্থানে আক্রমন চালাতে পারে। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল তা প্রতিহত করার জন্য ১৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে স্টেনগান ও রাইফেলসহ তাঁর ৭ জন বন্ধুকে নিয়ে ১টা মাইক্রোবাসে সিরাজ সিকদারের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। অন্যদিকে সিরাজ সিকদার ও তাঁর দলকে ধরার জন্যে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সুপারকে নির্দেশ দেওয়া ছিল। কামাল তা জানতেন না। ওই রাতে পুলিশ সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে একটা দল টয়োটা গাড়ীতে সিরাজ সিকদারের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন, পথিমধ্যে দু’দল সামনা-সামনি হয়ে গেল। মাইক্রোবাসে অস্ত্রধারী দেখে পুলিশের গাড়ীটি তাদের অনুসরণ করতে থাকে। সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া ভাবলেন, মাইক্রোবাসে অস্ত্রধারীরা সিরাজ সিকদারের লোক। অন্যদিকে কামাল ভাবলেন এই টয়োটা গাড়ীতে সিরাজ সিকদারের লোকেরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এসে একদল অন্য দলের ওপর গুলি চালায়। পুলিশের গুলি কামালের কাঁধে লাগে। তাঁর ৬জন বন্ধুও আহত হয়। কামাল মাইক্রোবাস থেকে বেড়িয়ে চিৎকার করে বলেন আর গুলি চালিও না। আমি কামাল। আমি কামাল। পুলিশ তাদের ভুল বঝতে পেড়ে সাথে সাথে কামালকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে পি.জি. হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আতংকিত সার্জেন্ট কিবরিয়া ইতোমধ্যে ঢাকার ডেপুটি কমিশনার আবুল হায়াতের বাসায় গিয়ে বিষয়টি বলেন। তিনি কাল বিলম্ব না করে সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে বিষয়টি অবহিত করেন। ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিক্রিয়া ছিল, আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়ার জন্য কামালের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, ওকে মরতে দাও। পুলিশের ব্যাপারে কি করা উচিৎ জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু তাঁকে তাদের কাজে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন, তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ ও মনঃক্ষুন্ন হয়ে ২ দিন পর্যন্ত তাঁর ছেলে কামালকে দেখতে পি.জি. হাসপাতালে যাননি। এ দিকে স্বাধীনতা বিরোধী ও আওয়ামী লীগ বিদ্বেষীরা এ ঘটনাকে ভিন্নরূপে প্রচার করতে থাকে। শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে তারা দেশে-বিদেশে ভুল তথ্য প্রচার করতে থাকে। ফলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

বঙ্গবন্ধুর দ্বৈত নীতিঃ
বঙ্গবন্ধুর সরকারি বাস ভবন ছিল বঙ্গ ভবন। তিনি থাকতেন ধানমন্ডির নিজ বাড়িতে। এ খানে বসে তিনি রাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতি পরিচালনা করতেন। দলীয় লোক, মন্ত্রীবর্গ, সাংবাদিক, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ ও আবেদন-নিবেদনকারীরা এখানে আসতেন। আবেদন-নিবেদনকারী কাউকেও তিনি নিরাশ করতেন না। প্রত্যেককেই আশ্বাস দিতেন, বিষয়টি আমি দেখছি। কিন্ত সকলের অনুরোধ তিনি রক্ষা করতে পারেন নি। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসন্তোষ ও ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। সাংবাদিক এ.বি.এম. মুসা এর মতে, বঙ্গবন্ধু সব কিছুই দেবেন বলে কথা দিতেন এবং সব কথাই তিনি বেমালুম ভুলে যেতেন। সমালোচকদের মতে, তাঁর এ দ্বৈত নীতির ফলে জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পায়।

পরিচ্ছন্ন অভিযানঃ
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পরিচ্ছন্ন অভিযান পারিচালনার জন্যে ১৯৭৪ সালের জুলাই মাসে মেজর ফারুক রহমানকে নারায়ণগঞ্জের দায়িত্ব দেয়া হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই মেজর ফারুক ডাকাত দলের আড্ডাখানা বলে পরিচিত নারায়নগঞ্জ রোডের আশেপাশের এলাকা একেবারেই পরিষ্কার করে ফেলেন অর্থাৎ দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারি, মজুতদার ও সন্ত্রাসীদেরকে ধরে থানায় সোপর্দ করেন। কয়েকদিন পরেই তারা মুক্তভাবে ঘুরেবেড়ায়। অথচ অপরাধের বিচার করলে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়ার কথা। এসব কারণে জুনিয়র সেনা অফিসারগনের মনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ওই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিকারী ডাকাত সরদার ২০ বছরের এক যুবককে তিনি গ্রেপ্তার করেন। সে নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক বলে পরিচয় দেয়। মেজর ফারুক তাকে জিজ্ঞেস করলে, সে পরিষ্কার ভাষায় স্বীকার করে যে, সে এ যাবৎ মাত্র ২১ জনকে হত্যা করেছে। মেজর ফারুকের ভাষ্যে, হত্যার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে জানায় যে, তার ওস্তাদ আওয়ামী লীগের জনৈক এক নেতার নির্দেশে এ সব হত্যা করেছে। বদমায়েশ যুবকের কথায় মেজর ফারুককে সাংঘাতিকভাবে নাড়া দেয়। তাঁর মতে, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের কুকর্মে যেকোন রকমের এ্যাকশন নিতে গেলেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আসত। সেনা বাহিনী বিভিন্ন জায়গা থেকে দুর্ণীতি, হত্যা, চোরাচালান, মজুদদার ইত্যাদি অভিযোগে শত শত লোক গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ঢাকা থেকে একটা টেলিফোনে ওই সব অপরাধী বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। মেজর ফারুক আরো বলেন, তিনি একটা লিখিত নির্দেশ পান তাতে বলা হয় যে, কাউকে গ্রেপ্তার করলে, তাকে নিজের দায়িত্বেই করতে হবে। কোন ঘটনা ঘটলে তার জন্যে তার রেজিমেন্টাল কমান্ডার বা ব্রিগেড কমান্ডার কেউই দায়ী হবেন না। এ জাতীয় নির্দেশে মেজর ফারুক এবং তার সহকর্মীরা হতাশ হন। মেজর ফারুকের মতে, দুর্ণীতি ও সন্ত্রাস দমন করতে হবে। তবে আওয়ামী লীগের লোকদের বিরুদ্ধে কিছুই করা যাবেনা।

টঙ্গীতে দম্পতি খুনঃ
১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি মেজর নাসির টঙ্গীতে ৩টা খুনের আসামী ৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁরা নব বিবাহিত এক দম্পতি তাদের গাড়ীতে টঙ্গী যাওয়ার পথে মোজাম্মেল হক নামে এক আওয়ামী লীগার ও তার সহকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। গাড়ীর ড্রাইভার এবং মেয়েটির স্বামীকে খুন করত মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ৩ দিন পর একাটা পুলের কাছে রাস্তায় তার লাশ পাওয়া যায়। মেজর নাসির মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করেন। ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সে মেজর নাসিরকে অনুরোধ করে। মোজাম্মেলের ভাষায়, স্যার বিষয়টি সরকারী পর্যায়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন না। আজ হোক, কাল হোক,আমাকে আপনার ছেড়ে দিতেই হবে। টাকার বিনিময়ে আমাকে ছেড়ে দিতে আপনার আপত্তি কেন? মেজর নাছির এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলাবে মনে করে আদালতে সোপর্দ করেন। কিছুদিন পরেই ৩টা খুনের আসামী মোজাম্মেল জন সম্মুখে ঘোরাফেরা করতে দেখে সকলেই বিস্মিত হয়। সেনা বাহিনীতে এ ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যে সৃষ্টি করে।

টঙ্গীর এ ঘটনাটি মেজর ফারুক এবং তাঁর সহকর্মীদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সরকার পরিবর্তনের জন্যে সমমনা অফিসারদের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। মেজর ফারুকের ভাষায়, আমরা এমন এক সমাজে বসবাস করছি যেখানে অপরাধীরা নের্তৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশ যেন মাফিয়ার কর্তৃত্বাধীনে চলে গিয়েছে। সরকার খুনের মত জঘন্য অপরাধের শক্তি যোগাচ্ছে। ফারুক ক্যাপ্টেন শরফুল হোসেনকে বলে, চল আমরা শেখ মুজিবকে খতম করি। অতপর মেজর ফারুক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনাটি কর্ণেল আমিন আহমেদ, মেজর হাফিজ উদ্দিন, মেজর সেলিম, মেজর নাসির, মেজর গাফফার, স্কোয়াড্রন লীডার লিয়াকত প্রমুখদের সাথে আলাপ করেন। তাঁরা এটা তাড়াতাড়ি করতে রাজি হননি। এ সময়ে মেজর ফারুকের ভায়রা মেজর খন্দকার আব্দুর রশিদ ভারতের দেওয়ালীতে ১৪ মাসের একটা গানারী স্টাফ কোর্সে প্রশিক্ষণে ছিলেন। ফারুক তার ভায়রা খন্দকার রশিদের অপেক্ষায় থাকেন।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী প্রণীত “এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য স্বাধীনতার প্রথম দশক” বই থেকে জানা যায় যে, বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নৃশংসভাবে নিহত হওয়ার পূর্বে নৈশ প্রশিক্ষণের নামে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিপুল সংখ্যক সৈন্য বর্তমান বিমান বন্দরে সমবেত হয়। এ নৈশ প্যারেডের সময় ব্রিগেড কমন্ডারের উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু তিনি উপস্থিত ছিলেন না। রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রধান দায়িত্ব ছিল সামরিক সচিব ও নিরাপত্তা সংস্থার। অথচ সে সময়ে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। সেনা নিবাস এবং রাষ্ট্রপতির বাড়ির আশেপাশে সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দাদের নজর রাখার কথা। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার কোন নজরদারী ছিল না। জেনারেল চৌধুরীর মতে, সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি সতর্ক থাকতেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হত তা’হলে এ নারকীয় হত্যাকান্ড সংঘটিত হত না।

আমাদের দেশের, ভারত ও অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে হত্যার ষড়যন্ত্র বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করা হয়েছিল। কিন্ত তিনি বিশ্বাস করেন নি। মুহূর্তের জন্যেও তাঁর মনে হয়নি কোন বঙ্গালি তাঁকে হত্যা করতে পারে। কারণ তাঁর ভাষায়, আমি আমার দেশকে, দেশের মানুষকে ভালবাসি, তাঁরাও আমাকে ভালবাসে। তিনি তাঁর বাংলাদেশকে অনিরাপদ ভাবেন নি। হত্যাকারীদের অশুভ পরিকল্পনা থেকে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। তাই বলা হয়, “দি সেভিয়ার অব ম্যানকাইন্ড কুড নট সেইভ হিমসেলফ।”

১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মামলা দায়ের হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা জেলার দায়েরা জজ গোলাম রসুল উম্মুক্ত আদালতে এর রায় ঘোষণা করেন এবং ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। আসামীরা আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর ১২ জনের মৃত্যুদন্ড বহল রাখেন। ইতোমধ্যে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে। অবশিষ্ট ৬ জন বিদেশে পলাতক আছে। এ রায় ৩৪ বছর পর বাংলাদেশকে কলংকমুক্ত করেছে। এ রায়ের মাধ্যমে প্রমান হল, রাষ্ট্র চলবে তার সংবিধান অনুসারে, সরকার পরিবর্তন হবে ভোটের মাধ্যমে,বন্দুকের নলের মাধ্যমে নয়। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফৌজদারী আইনের বিচারই যথেষ্ট নয়। এ ব্যপারে একটা তদন্ত কমিশন গঠন করে দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের সনাক্ত করা উচিৎ।….. (সমাপ্ত)

লেখকঃ অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
মোবাঃ ০১৭৩০-৯৩৫৮৮৭

তথ্য সূত্রঃ
০১। আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর -আবুল মনসুর আহমদ।
০২। জাসদের উত্থান পতনঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি -মহিউদ্দিন আহমদ।
০৩। আন ফিনিসড রেভুলিউশন -লরেন্স লিফশুলৎস -অনুবাদ মুনীর হোসেন।
০৪। এ লিগ্যাসি অব ব্লাড -অ্যানথনী ম্যাসকার্ণহাস -অনুবাদ মোঃ শাহজাহান।
০৫। এক জেনারেলে নীরব সাক্ষ্য স্বাধীনতার প্রথম দশক -মেজর জেনারেল (অবঃ) মইনুল হোসেন চৌধুরী।
০৬। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগষ্ট ও ষড়যন্ত্রের নভেম্বর -কর্ণেল (অবঃ) শাফায়াত জামিল।
০৭। পচাত্তর ইতিহাসের কলংকতিলক -লেঃ কর্ণেল (অবঃ) এস.এম. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
০৮। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস -প্রফেসর ডঃ রামদুলাল রায়।
০৯। মুক্তিযুদ্ধ পালা বদলের ইতিহাস -হারুন হাবীব।
১০। বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় জাতির কলংক মোচন -আনু মাহমুদ।
১১। বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান -সিরাজ উদ্দিন আহমেদ
১২। মুজিব ভারত পন্থী ছিলেন না -সাঈদ তারেক

Leave a Reply

x

Check Also

মঠবাড়িয়ায় জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি সংগঠনের উদ্যোগে রোজদারদের ইফতার বিতরণ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির উদ্যোগে মাহে রমজানে সহস্রাধিক মানুষের ...